বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাম্পার ফলনেও বঞ্চিত কৃষক, পাইকারের পোয়াবারো

  • প্রতিনিধি, ফেনী   
  • ২৬ মার্চ, ২০২৩ ১৮:২৯

একটি বড় তরমুজ মাঠ থেকে কেনা পড়ে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। সেটি বাজারে নিয়ে বিক্রি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফেনীর সোনাগাজীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বিগত বছরের মতো এবারও তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। গ্রীষ্মকালের জনপ্রিয় সুস্বাদু এই ফলটির উৎপাদন ভালো হলেও লাভের একটি বড় অংশ খেয়ে চলে যায় পাইকারদের পকেটে। এতে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

তারা বলছেন, তরমুজের চাষাবাদ ব্যয়বহুল হওয়ায় ধার-দেনার পাশাপাশি পাইকারদের থেকে অগ্রিম টাকা নিতে হয়। এতে তাদের তেমন একটা লাভ হয় না। এ বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী বছর থেকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় পাঁচ বছর আগে তরমুজ চাষের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে মাত্র ৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। এ বছর কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ৩ শ ৮১ হেক্টরের বিপরীতে চাষ হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি জমিতে ।

স্থানীয় তরমুজ চাষি আইয়ুব নবী ফরহাদ বলেন, এ অঞ্চলে উৎপাদিত ওশেন সুগার, গ্লোরি, বাংলালিংক, ব্ল্যাক বেরি জাতের তরমুজ আকারে অনেক বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারেও রয়েছে এর বেশ চাহিদা। চলতি বছর আমি ২২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। সব মিলিয়ে এতে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

সোনাগাজীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখেন আব্দুল কাদির পাইকার। তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের অগ্রিম টাকা দিয়ে দিই। এ টাকা অনেকদিন পড়ে থাকে। আবার আমরা মাঠ থেকে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ করে তা বাজারে নিয়ে যাই।

সরেজমিনে দেখ যায়, একটি বড় তরমুজ মাঠ থেকে কেনা পড়ে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। সেটি বাজারে নিয়ে বিক্রি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ নিয়ে কৃষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সরকারি ঋণ সহায়তা না পাওয়ায় ধার-দেনা আর দাদন পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত আছি আমরা। পাইকাররা সিন্ডিকেট করে। আমরা ন্যায্য দাম পাই না।

ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন বলেন, ফেনী নদীর বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলের পলিমাটি তরমুজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এখানে তরমুজের ভালো ফলন হয়। এবার আমরা প্রণোদনা না দিলেও আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। আগামী বছর থেকে আমরা প্রণোদনা দেয়ার কথা ভাবছি।

এ বিভাগের আরো খবর