বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, বিশ্ব দরবারে মানুষ বাংলাদেশকে চেনে বঙ্গবন্ধুর নামে। বঙ্গবন্ধু শুধু নেতৃত্বই দেননি, এই নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তিনি বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বিশ্বের অনেক প্রান্তে বাংলাদেশের পরিচয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ নামে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রোববার দুপুরে এক স্মারকগ্রন্থের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ পদদলিত করা হয়েছে। ওই সময়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে যাকে দাবি করা হয়েছিল, তিনি নিজেও জীবিত থাকা অবস্থায় নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে মানুষ বাংলাদেশকে চেনে বঙ্গবন্ধুর নামে। বঙ্গবন্ধু শুধু নেতৃত্বই দেননি, এই নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তিনি বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বিশ্বের অনেক প্রান্তে বাংলাদেশের পরিচয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ নামে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো নেতাকে পেয়ে আমরা গর্বিত। সারা বিশ্বে তিনি অনন্য। বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সবাই মিলে যার যার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব।’
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘একটি আরেকটি থেকে আলাদা করা যায় না। পাকিস্তানের ২৪ বছরে তিনি ৩ হাজার ৫৩ দিন কারাবরণ করেছিলেন। এ সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৪ হাজার ৮০০ পাতার গোয়েন্দা প্রতিবেদন হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেখানেই যেতেন গোয়েন্দারা ছায়ার মতো লেগে থাকত। তিনি সারা বিশ্বে বাঙালি জাতিকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, পতাকা দিয়েছেন। এত মহান ব্যক্তিকে এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার সপরিবারে হত্যা করেছেন।’
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষ যখন একটা জাতির প্রতীক হয়ে ওঠেন এবং তখন তার পরিচয়েই দেশ পরিচিতি পায়। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতির প্রতীক হয়ে ওঠেছিলেন।’
কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষ, নদী, গাছ, মাটি, পাখিকে ভালোবাসতেন। তার নেতৃত্বে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা হয়েছিল বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বলেন, ‘বইটি অত্যন্ত চমৎকার। অনেক বিদগ্ধজনের লেখা ও দুর্লভ ছবি এই বইতে আছে। বঙ্গবন্ধু সব সময় শোষণহীন, বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখতেন।’
স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য উল্লেখ করে বিমানের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘কিছু সংখ্যক জ্ঞানপাপী স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করেন। যা আমাদের ভাবতেও লজ্জা হয়।’
অনুষ্ঠানে মুজিবের বাংলাদেশ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।