বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধান ক্ষেতে পতাকা, সবজি ক্ষেতে স্মৃতিসৌধ

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২৩ ১২:৪০

শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইফুল আজম খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় যেন সকলে সহযোগিতা করতে পারে সেজন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

স্বাধীনতার মাসের গুরুত্ব সবার মধ্যে তুলে ধরতে এবং শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) ধান ক্ষেতে জাতীয় পতাকা এবং সবজির প্লটে মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছেন এটিআইয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা। এতে ছাত্র, শিক্ষক ও স্থানীয়রাও অনেক খুশি।

স্বাধীনতার মাসে এটিকে জনসাধারণের সামনে প্রদর্শন করার জন্য ২৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি।

এটিআইয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল আজম খান বলেন, ‘শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রায় ৪০ একর জমির বিশাল এলাকায় ধান ও সবজির প্রদর্শনী প্লট রয়েছে। স্বাধীনতার মাসের গুরুত্ব সবার মাঝে তুলে ধরতে ধান ও সবজির প্লটে সবার দৃষ্টি কাড়ে এমন এক বিশাল পতাকা, মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধ করা হয়েছে।

‘ধান ক্ষেতের ক্যানভাসে ১৬০ ফিট দৈর্ঘ্য, ৯৬ ফুট প্রস্থ ও ৩২ ফুট বৃত্তের ব্যাসার্ধের জাতীয় পতাকা তৈরি করা হয়েছে। পতাকার সবুজ অংশ বঙ্গবন্ধু-১০০ ও হাইব্রিড এবং মাঝখানের লাল বৃত্তের অংশ দুলালি সুন্দরী ধানের চারা দিয়ে সাজানো হয়েছে। পতাকার সবুজ অংশ দিয়ে বুঝানো হয়েছে বাংলার প্রকৃতিকে আর মাঝখানে লাল বৃত্ত দিয়ে বুঝানো হয়েছে লক্ষ শহীদের রক্ত। এবং পাশেই সবজির প্লটে লাল শাক ও পাট শাকের চারা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধ। এতে আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় যেন সকলে সহযোগিতা করতে পারে সেজন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

কলেজ শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম জিহান বলেন, ‘আমাদের কলেজে এত সুন্দর একটি পতাকা, মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের অধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশনায় স্বাধীনতার মাসকে সামনে রেখে এ কাজটি করেছি। এ কাজটির ফলে আমরা স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছি।’

প্রতিষ্ঠানের সপ্তম বর্ষের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি বলেন, ‘আমাদের স্যারদের সহযোগিতায় এমন সুন্দর কাজটি করেছি। কৃষির মাধ্যমে দেশকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সবার মাঝে। অনেকেই দেখতে আসছেন। এমন সৃজনশীল কাজ দেখে খুশি হচ্ছেন এবং আমাদের প্রশংসা করছেন।’

স্থানীয় কবি ও সাহিত্যিক আব্দুল আলীম বলেন, ‘কলেজের শিক্ষক ও ছাত্ররা মিলে এমন একটি কাজ করেছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এখানে আমাদের দেশকে জাতির সামনে তুলে ধরেছে তারা। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এভাবেই সকল কিছু করে দেখাতে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্র‍ী দেশের জন্য অনেক কিছু করে যাচ্ছেন।’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুকে জানতে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শেরপুর জেলায় এটাই ব্যতিক্রমী ও প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রশংসা জানিয়েছেন সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েদের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধকে জানাতে এখানে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এতে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেয়েছি। এবার আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মতো আরও সবাইকে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার দরকার।’

এ বিভাগের আরো খবর