বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেইলি ব্রিজে মেরামতকাজে বন্ধ চলাচল

  • প্রতিনিধি, ফরিদপুর   
  • ২৫ মার্চ, ২০২৩ ১০:২২

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘বেইল ব্রিজটি সরিয়ে সেখানে বড় ব্রিজ করে ওয়ানওয়ে করে দেয়া উচিত। তাতে করে র‌্যাফেলস ইন মোড় থেকে জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত হবে এবং মানুষের যাতায়াত সহজতর হবে।’

রমজানের শুরুতেই ফরিদপুরের সবচেয়ে ব্যস্ততম আলিমুজ্জামান বেইলি ব্রিজে মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ধরনের চলাচল। এতে শহরবাসী নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্রিজটির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে জনগণের স্বার্থেই সেখানে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে।

আগামী চার থেকে পাঁচদিন চলবে এ কাজ। এতে এ কয়েকদিন শহরবাসীর যাতায়াতে একটু সমস্যা পোহাতে হবে। শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি স্থায়ীভাবে নির্মাণ করে জনসাধারণের পাশাপাশি যান চলাচল শুরুর দাবি দীর্ঘদিনের।সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমার নদের এই বেইলি ব্রিজে সবধরনের চলাচল বন্ধ করে সেখানে মেরামত কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। আর ব্রিজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শহরের মানুষ হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারে যেতে আলীপুর-গোয়ালচামট পথে আলীমুজ্জামান বড় ব্রিজ কিংবা পূর্ব খাবাসপুর-রথখোলা পথের জোড়া ব্রিজ ব্যবহার করছে।

শহরের ঝিলটুলীর বাসিন্দা মোজাম্মেল হক মিঠু বলেন, ‘ব্রিজটি দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকায় মাছ বাজারে যেতে আমাদের অনেক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। আর শহরের মধ্যে একমাত্র মাছ বাজার ব্রিজটি হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারেই স্থাপিত।’

কুমার নদের উপরে মুজিব সড়কে স্থাপিত ব্রিজটির এক প্রান্তে ফরিদপুরের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজার এবং অন্য প্রান্তে নিউ মার্কেট ও তিতুমীর বাজার এলাকা। শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কুমার নদের এই ব্রিজটি একসময় যান ও জনচলাচল করলেও ৮৮ এর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে বন্ধ করে দেয়া হয় যানবাহন চলাচল।

এরপর শুধু হেটেই চলাচল হচ্ছে ব্রিজটি দিয়ে। এরপর সেখানে আবার একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করার পর ২০১২ সালে সেটি দুর্ঘটনায় ধসে যায়। ফরিদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমার নদের উপর ৯১ মিটার দৈর্ঘ্য আলিমুজ্জামান বেইলি ব্রিজটি সংস্কার করে জনচলাচলের ব্যবস্থা করে। তবে শুধুমাত্র হেটেই ব্রিজটিতে চলাচল করা যেত। শহরের মানুষ নিত্য প্রয়োজনে এই পথে চলাচল করে।

শহরের সাধারণ বাসিন্দাদের দাবি, এই বেইলি ব্রিজটি অপসারণ করে সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রীজ নির্মাণ করা হোক। শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা শামীম হোসেন, মুন্সিবাজারের সোহেল আহমেদ বলেন, ‘ফরিদপুরের এই বেইলি ব্রিজটি তুলে সেখানে স্থায়ীভাবে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হলে শুধু চলাচলেরই সুবিধা হবেনা। বরং হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারে প্রবেশমুখ হতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কে যানজট নিরসন হবে।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘বেইল ব্রিজটি সরিয়ে সেখানে বড় ব্রিজ করে ওয়ানওয়ে করে দেয়া উচিত। তাতে করে র‌্যাফেলস ইন মোড় থেকে জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত হবে এবং মানুষের যাতায়াত সহজতর হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ফরিদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, প্যানেলে জং পড়ে গেছে।

এ ছাড়া আরও কিছু সংস্কার কাজ করতে হবে। চার পাঁচদিন লাগবে কাজ শেষ হতে। শহরবাসীর নিত্যদিনের যাতায়াতের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত এই ব্রিজটি ১৯৩৫ সালে নির্মিত। তৎকালীন জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান চৌধুরী শহরের বুকে কুমার নদের উপর সর্ব প্রথম কোনো সেতু হিসেবে এই সেতুটি নির্মাণ করেন। লোহার পিলারের ওপরে পাথরের ঢালাইয়ের এই সেতুটি ১৯৮৮ সালের বন্যায় ধসে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর