জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বৃহস্পতিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক, সদস্য রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মোহাম্মদ জুলকারনাইন ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুর্শেদা বেগম এবং সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা মাহতাব উজ জাহিদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বাইরে বের হচ্ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম।
এ সময় অডিটোরিয়ামের গেইটে তাকে রড দিয়ে পেটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এতে সাইফুলের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। তাকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাইফুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের পর আজ শুক্রবার শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই বহিষ্কৃত পাঁচ নেতা-কর্মীর তিনজনের পদ স্থগিত করা হয়।
পদ স্থগিতকৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান অমি, সহ-সম্পাদক আহমেদ গালিব এবং সদস্য আহসানুল হাবীব রেজা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ১৭(খ) ধারা অনুযায়ী তাদের পদসমূহ স্থগিত করা হলো। ভবিষ্যতে তাদের যেকোনও অসামাজিক, অনৈতিক এবং সংগঠন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ভার জাবি শাখা ছাত্রলীগ বহন করবে না।’