বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলা বর্ণ বাদ দেয়ার গুজবকারী শনাক্ত

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২৩ ২৩:৫৩

ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের নাম দিয়ে একটি ম্যাসেজের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বাংলা একাডেমি থেকে জানানো হয়, এমন ম্যাসেজ তাদের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।’

বাংলা বর্ণমালা থেকে সাতটি বর্ণ বাদ দেয়ার গুজব রটনাকারীকে শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। তাকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। পিএইচডিধারী এই ব্যক্তিকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের নাম দিয়ে একটি ম্যাসেজের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বাংলা একাডেমি থেকে জানানো হয়, এমন কোনো ম্যাসেজ তাদের বা সেলিনা হোসেনের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়নি।

‘এমন ঘটনায় আমরা গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করি। প্রাথমিক তদন্তে অপপ্রচারের সত্যতা পাওয়া গেছে। একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।’

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোমাধ্যম ফেসবুকে একটি মেসেজের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। ওই স্ক্রিনশটে লেখা রয়েছে, ‘প্রিয় সুধী, আগামী ২০২৪ সালে বাংলা স্বরবর্ণ থেকে ঈ, ঊ, ঋ এবং বাংলা ব্যঞ্জন বর্ণ থেকে ঞ, ণ, ঢ়, ৎ বাদ দেয়া হবে।’

মেসেজের নিচে প্রেরক হিসেবে লেখা হয়েছে, ‘সেলিনা হোসেন। সভাপতি। বাংলা একাডেমি।’

ওই পোস্টটি দেয়া হয়েছে একটি ফোন নম্বর থেকে আসা মেসেজের ওপর ভিত্তি করে। তবে যে নম্বর থেকে মেসেজটি এসেছে, সে নম্বরে একাধিকবার ফোন কল করলেও কেউ ধরেননি।

১৫ মার্চ বিষয়টি গুজব বলে জানান বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমন কিছু জানি না। এমন কোনো সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমি নেয়নি। এটি গুজব।’

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আনসারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো বর্ণ বাদ দেয়ার সুযোগ বাংলা একাডেমির নেই। আসলে বাংলা একাডেমি তো কোনো বর্ণ বাদ দেয়ার বা সংযুক্ত করার কর্তৃপক্ষও না।’

বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ সবমিলিয়ে ১১টি। ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা ৩৯। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানে বহুদিন ধরে প্রচলিত ‘ঈদ’ শব্দের বানান পরিবর্তন করে ‘ইদ’ লিখে আলোচিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর