হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের এক সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার পর ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কাজীশাইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন-ওই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সূর্য্যল হক (৪২), তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৮) ও তাদের বড় ছেলে ইয়াছিন (১৪)।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের ধারণা, নেশাগ্রস্ত সূর্য্যল সংসারের অভাবের কারণে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
এ নিয়ে তার প্রতিবেশী আব্দুল হালিম বলেন, ‘সুর্য্যলের সংসারে সব সময় অভাব লেগে থাকতেন। এর মধ্যে সে নিয়মিত নেশাও করতেন। সংসারে অভাবের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।’
আরেক প্রতিবেশী ফারুক মিয়া বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার সূর্য্যল তার স্ত্রী-সন্তানকে মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন।’
সূর্য্যলের বড় ভাই আব্দুল হাই বলেন, ‘অভাবের কারণে সূর্য্যলের সংসারে সব সময় ঝগড়া লেগে থাকত। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। সকালে ছোট ছেলে জিহান (৬) মক্তবে চলে যায়। পরে সূর্য্যল তার দুই মেয়ে শিরিন ও আয়রিনের সামনেই স্ত্রী ও বড় ছেলেকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেন। খুন হওয়া ইয়াছিন প্রতিবন্ধী ছিল।’
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা স্বামী, স্ত্রী ও এক সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করি। এর মধ্যে স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ ছিল ঘরে ও স্বামীরটি গাছে ঝুঁলছিল।’
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলি, চুনারুঘাট সার্কেল এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ও চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসপি মুরাদ আলি বলেন, ‘অভাবের কারণে সূর্য্যলের স্ত্রী একরকম মানুষের কাছে হাত পেতেই সংসার চালাতেন। আমরা ধারণা করছি, ঝগড়া লেগেই স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন সূর্য্যলে ।’