ইফতার সামগ্রী তৈরিতে পোড়া তেল, বিষাক্ত নন-ফুড গ্রেড কালার ও কেমিক্যাল ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আসন্ন রমজানে খাবারে হাইড্রোজসহ কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার, পরিবেশনের ক্ষেত্রে নন-ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার, রান্নার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডাস্টবিন ও খাবার তৈরির উপাদান/রান্না করা খাবার পাশাপাশি রাখা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও চকবাজার ইফতার সামগ্রী বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক এই সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এই আহ্বান জানান।
সভায় খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, বিক্রয়কারী ও পরিবেশনকারীদের হ্যান্ড গ্লাভস ও ক্যাপ না থাকা, খাবার পরিবেশনের কাজে খবরের কাগজ ব্যবহার, খাবার তৈরিতে নন-ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার, পোড়া তেল ব্যবহার, বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তার বক্তব্যে নানামুখী অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ না করার আহ্বান জানান। তিনি অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান করার আহ্বান জানান।
চকবাজারে ফুটপাতে ও ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
বক্তব্য দেন পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরা সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, চকবাজারের বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী বিক্রেতাসহ অন্য ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব আলোচনায় বিভিন্ন রেস্তোঁরার মালিক ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া ও সচেতন করার কথা বলেন।