বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক নিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকারের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ বিমানের কিছু সংখ্যক কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহযুক্ত সার্ভারটিকে আলাদা (আইসোলেটেড) করে রাখা হয় এবং ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু আছে।
বিমান জানায়, সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে বিমানের ই-মেইল সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে বিমান।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তফসিলভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বিমান জানিয়েছে, বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে বিমান তার ই-মেইল কার্যক্রম চালু রেখেছে। তবে গণমাধ্যমে কী বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, বিমানের ই-মেইল সার্ভার কবে উদ্ধার হবে, তদন্ত কমিটিতে কারা আছেন, কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি কতদূর-এসব বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু জানায়নি বিমান কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক হয় র্যানসামওয়্যার দ্বারা। ১০ দিনের সময় বেধে দিয়ে হ্যাকাররা বিমানের কাছে অনেক টাকা দাবি করেছে। অন্যথায়, সব তথ্য ফাঁস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে তারা।
বিমানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এরপর থেকেই বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইমেইলে যোগাযোগ বন্ধ আছে। পাশাপাশি বন্ধ আছে বিমানের নিজেদের মেইল থেকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক যোগাযোগগুলো।