বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফেরানো সম্ভব নয় তা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকেও জানিয়ে এসেছি।’
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ এই সভার আয়োজন করে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বড় বড় কথা ছাড়ুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত আর বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না। আজ আমরা আমেরিকার অ্যাম্বাসেডরকে বলে এসেছি, তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বাংলাদেশে ফেরত আনা সম্ভব নয়।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ভেসে গেছে নীরব পদযাত্রায়। পদযাত্রা থেকে দাঁড়িয়ে গেছে মানববন্ধনে। এখন বিএনপির আন্দোলন চোরাবালিতে আটকে গেছে। সামনেও যায় না, পেছনেও যায় না। ডানেও যায় না, বামেও যায় না।
‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ‘কাদায় পড়া গরুর গাড়ি’র চিত্রকর্মের মতো। বিএনপির অবস্থাও কাদায় আটকে পড়া জয়নুলের গরুর গাড়ির মতোই। নড়েও না, চড়েও না।’
আওয়ামী লীগের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার সাধ্য কারও নেই। ঘোষণার পাঠককে ঘোষক বানিয়ে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টা কম হয়নি। ঘোষণা আর পাঠ করা এক নয়। পাঠক কখনো ঘোষক নয়। এই বিভ্রান্তিও বাংলাদেশে সৃষ্টি করা হয়েছে।
‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার জনগণের কাছ থেকে পেয়েছেন। এই অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারও নেই। এই বৈধ অধিকারবলেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক।
‘পাঠক অনেকেই আছেন। সে সময় চট্টগ্রামের নেতারা ভেবেছিলেন, সামরিক বাহিনীর কাউকে দিয়ে ঘোষণাটি পাঠ করা গেলে জনগণ উজ্জীবিত হবে। সেজন্য জিয়াউর রহমানকে খুঁজে এনে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছে।’