ময়মনসিংহ নগরীর নিরালা রেস্ট হাউজ নামের আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা করেছে।
২৩ বছর বয়সী গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন নতুন চরচাষী গ্রামের বাসিন্দা।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মাছুম আহম্মদ ভূঞা।
তিনি জানান, গত ১৮ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেস্ট হাউজের এক কর্মী ওই কক্ষটি পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে বাথরুমে গলাকাটা অবস্থায় এক তরুণীর মরদেহ পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্ট হাউজ মালিক মো. মুসাকে আটক করে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশ একটি হত্যা মামলা করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা থেকে হত্যাকারী রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আসামি রাকিব। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি সমাজসেবা কার্যালয়ে আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতেন।
গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকার আগারগাঁও অফিস থেকে মিরপুর সেহড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে আসার সময় এক যৌনকর্মী তরুণীর সঙ্গে কথা হয় রাকিবের। তখন তিনি ওই তরুণীকে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার শর্তে ময়মনসিংহ নিয়ে এসে নিরালা রেস্ট হাউজে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে থাকেন।
শর্তের টাকা নিয়ে ১৫ মার্চ ওই তরুণীর সঙ্গে রাকিবের ঝগড়া হয়। ওইদিন সকাল ১০টার দিকে বাইরে থেকে চাকু কিনে এনে তরুণীর গলাকেটে হোটেলের শৌচাগারে ফেলে পালিয়ে যায় রাকিব।
পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভূঞা বলেন, ‘সোমবার গ্রেপ্তার রাকিবকে আদালতে তোলা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।’