বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুকে ধর্ষণের পর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেন ২ জন

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ২১ মার্চ, ২০২৩ ২০:৫৯

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান বলেন, হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করে শিশুটির পরিবার। এ ঘটনায় চারজনকে আটকের পর দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নুসরাত জাহান মীম নামে এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ মুখ্য ৫ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন গ্রেপ্তার একজনকে কারাগারে পাঠালেও আরেকজন শিশু হওয়ায় গাজীপুরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন।

এর আগে সোমবার রাতে ধোবাউড়া সদর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার গামারিতলা ইউনিয়নের কলসিন্দুর গ্রামের মো. ইসরাফিলের ছেলে ১৯ বছর বয়সী মো. ইউসুফ ও একই গ্রামের ১৫ বছর বয়সী আরেকটি কিশোর।

১১ বছর বয়সী নিহত নুসরাত জাহান মীম একই গ্রামের দিনমজুর খোকন মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশের ভাষ্য, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি। পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশে নিতাই নদীতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এসময় শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।

নিহত শিশুর বাবা খোকন মিয়া বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে মীম আমাকে বলেছিল বাজার থেকে খাবার নিয়ে আসতে। পরে বাজারে চলে গেলে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে বাড়ি থেকে খবর আসে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় দ্রুত ছুটে এসে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নদীর কিনারায় মরদেহ পাওয়া যায়।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান বলেন, হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করে শিশুটির পরিবার। এ ঘটনায় চারজনকে আটকের পর দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা জানায়, মীম বাড়ি থেকে বাইরে আসলে তাকে তুলে নিয়ে কলাবাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে ধর্ষণ শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিকটবর্তী নদীতে মরদেহ ভাসিয়ে দিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।

এ বিভাগের আরো খবর