ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদায়ী নুরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতে এই অর্থ চাওয়া হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন এসব ইভিএম মেরামত করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ব্যবহার করতে চায়।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরাদ্দ নিশ্চিত করতে বিশেষ কোনো যুক্তি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে অশোক কুমার বলেন, ‘না, বিশেষ কোনো যুক্তি তুলে ধরা হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। আর সে লক্ষ্যেই এসব ইভিএম মেরামতের জন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম সরবরাহ করে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়েছিল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি৷
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমপক্ষে দেড় শ’ আসনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই প্রকল্প আপাতত স্থগিত করেছে সরকার। ফলে হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া দেড় লাখ ইভিএম-এর ওপরই কমিশনকে নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে ৪০ হাজার মেশিন প্রায় ব্যবহার অযোগ্য। এ অবস্থায় দ্বাদশ ভোটের আগে এসব মেশিন মেরামতে বরাদ্দ না পেলে পুরনো পদ্ধতি ব্যালটে ফিরে যেতে হবে কমিশনকে।
ইভিএম মেরামতে টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হচ্ছে- নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সোমবার এমন তথ্য জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও টাকার নিশ্চয়তা পাইনি। চাহিদাকৃত অর্থের অর্ধেক চলতি অর্থবছরে এবং বাকিটা আগামী অর্থবছরে দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। এখন অর্থ বিভাগ টাকার সংস্থান করলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হব।’