বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ৪ শিক্ষকসহ পাঁচজন কারাগারে

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ২১ মার্চ, ২০২৩ ১৪:০৮

গত বছরের ১ জুন কীটনাশক পানের পর মারা যায় ১৪ বছরের সিফাত হোসেন। স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। তার বাবা মিজানুর রহমান এ ঘটনায় মামলা করেন।

নওগাঁয় শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষক ও আরও একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালতে হাজির হয়ে সোমবার ওই পাঁচজন জামিন আবেদন করলে আবেদন নাকচ করে সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমতিয়াজুল ইসলাম।

কারাগারে যাওয়া চার শিক্ষক হলেন সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৫৬ বছর বয়সী মো. আজাহারুল ইসলাম, ৪৩ বছরের সহকারী শিক্ষক মো. সাজেদুর রহমান সাজু, ৩৯ বছরের শ্রী সুবল মন্ডল, ৫১ বছেরের মো. নজরুল ইসলাম। বাকিজন দাসকান্দি গ্রামের মৃত হক সাহেবের ছেলে মিঠু।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ১ জুন কীটনাশক পানের পর মারা যায় ১৪ বছরের সিফাত হোসেন। স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। তার বাবা মিজানুর রহমান এ ঘটনায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩১ মে সকালে স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কীর্ত্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিফাতকে নবম শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থী মারধর করে। ঘটনাটি ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারকে জানালে ওই দিনই তার বাবা প্রধান শিক্ষক আজহার আলীর কাছে অভিযোগ করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তবে প্রধান শিক্ষক বিষয়টিতে কর্ণপাত না করে উল্টো নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে মারপিট করতে বলেন, আর না হয় হাতে মেয়েদের চুড়ি পরে থাকতে বলেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থীর বাবা সাজেদুর রহমান মারধরের শিকার শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ করেন এবং বিদ্যালয় থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেন।

এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুবল মন্ডল ও নজরুল ইসলামও মারধরের শিকার শিক্ষার্থীকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। ন্যায়বিচার না পাওয়ায় বাড়ি ফিরে ওই দিন রাতে কীটনাশক খায় মারধরের শিকার সিফাত। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ১ জুন দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে নওগাঁ আমলী আদালতে ওই বছরের ৯ জুন মামলা করেন। মামলার এজাহারে থাকা বাকি আসামিরা ওই বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।

এ বিভাগের আরো খবর