গোপালগঞ্জ সদরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংঘর্ষ, পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনায় কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সদর থানার ওসিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর ১০ সদস্য রয়েছেন।
সোমবার সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। সন্ধ্যার দিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফল বাতিলের দাবিতে পরাজিত তিন প্রার্থীর (মেম্বার) সমর্থকেরা নির্বাচনী মালামাল (ইভিএম) আটকে দেয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ওসির গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরমানিকদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষকালে সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর ১০ সদস্যসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে তিনজন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ, এসআই নাজমুল আলম, এএসআই আসাদুজ্জামান, কনস্টেবল রোকন মিয়া, মুস্তাফিজুর রহমান ও পারভেজ; ২৩ আনসার ব্যাটেলিয়ানের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার মো. হায়দার আলী, আনসার সদস্য সবুজ বালা, শাওন বিশ্বাস, লক্ষ্মী বিশ্বাস ও এসিল্যান্ডের ড্রাইভার ইব্রাহিম শরীফ।
এছাড়া পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন কালাম শেখ, ইয়াসিন শেখ ও সম্রাট মোল্লা। গ্রেপ্তার এড়াতে আহত অন্যরা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সদর থানার ওসি জাবেদ মাসুদ রাতে জানান, এলাকার পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় খাইরুল কাজী ও কালাম শেখ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।