বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার বুঝে গেছে যে তাদের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে। সে জন্য তারা বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে প্রতিবাদের ঝড়ের গতি ততই তীব্র হবে।’
রাজধানীর একটি ক্লাব থেকে বিএনপির ৫৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। সেই সময়টাতে বর্বর ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও কারান্তরীণ করা অব্যাহত রেখেছে। দেশের মানুষকে ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানেও বাধা দিচ্ছে এই সরকার।’
সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নেত্রকোণাসহ দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশটা আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি। বর্তমান শাসক গোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলশূন্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত।’
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মমিন আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ধীরেন, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমসহ ৫৩ জনকে ঢাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া নেত্রকোনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান দুদু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আয়নাল হককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’