খুলনা নগরের টুটপাড়া এলাকা থেকে রোববার ভোর চারটার দিকে দুই ভাই বাড়ি থেকে বের হন। খুলনার রয়েল মোড় থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসে ওঠেন। ছোট ভাই মো. ইশরাকুজ্জামান গোপালগঞ্জে নেমে যান গাড়ি থেকে। তবে গাড়িতে ছিলেন বড় ভাই মো. আশফাকুজ্জামান লিংকন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে বাস খাদে পড়ে তিনি নিহত হন।
দুই জনের মধ্য ছোট ভাই মো. ইশরাকুজ্জামান একটি বেসরকারি ব্যাংকের রাজবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। নিহত ৪৫ বছর বয়সী আশফাকুজ্জামান লিংকন ছিলেন ঠিকাদার। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বের মতন। বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার মরদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে ছোট ভাইকে।
তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা খুলনা নগরের টুটপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় আশফাকুজ্জামান। ছোট ভাই ও বোনের বিয়ে হয়ে গেলেও তিনি বিয়ে করেননি।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে আশফাকুজ্জামানের মামারা নিশ্চিত হন সড়ক দুর্ঘটনায় আশফাকুজ্জামান নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশফাকুজ্জামানের বাবা শাজাহান মোল্লাকে ছেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টুটপাড়ার নজরুল ইসলাম সড়কে আশফাকুজ্জামানদের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায় খাটিয়া প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। গোসল করানোর জায়গাও প্রস্তুত। বাড়ির সামনের গলির মুখে মানুষের জটলা। তবে কেউ বাড়ির দিকে যাচ্ছেন না। এর কারণ জানা গেল তাদের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে।
আশফাকুজ্জামানের মেজো মামা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মরদেহ নিয়ে রোববার বিকেল ৩টার দিকে খুলনার উদ্দেশে বের হয় আশফাকুজ্জামানের ছোট ভাই ইশরাকুজ্জামান। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে টুটপাড়া কবরস্থানে আশফাকুজ্জামানকে দাফন করা হয়।’