বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশ যাওয়া হলো না মোস্তাকের

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২৩ ২২:৫৭

স্বামীর কথা জিজ্ঞাসা করতেই জোকানি বললেন, ‘এক ঝড়ে আমার সব শ্যাষ হইয়া গেল। আমার ছোট ছোট দুই পোলারে এতিম কইরা ওনি চইল্লা গেলো। ওগো আমি কি বুঝ দিমু। আল্লাহ আমার মরণ দিলো না ক্যান। আমার স্বামীকে তোমরা ফিরাইয়া দাও।’

সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে আগামী মাসেই সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল মোস্তাকের। পাসপোর্টের জন্য আঙ্গুলের ছাপ দিতে রোববার গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় মোস্তাকের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

রোববার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা সেতুর আগে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারালে মোস্তাকসহ আরও ১৮ জন নিহত হন।

নিহত মোস্তাক আহমেদ গোপালগঞ্জ জেলার বনগ্রাম এলাকার সামসুল হকের ছেলে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্বাক চোখে স্বামীর দিকে তাকিয়ে ছিলেন মোস্তাকের স্ত্রী জোনাকি বেগম। স্বামীর মরদেহ গ্রহণ করতে দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন তিনি।

স্বামীর কথা জিজ্ঞাসা করতেই জোকানি বললেন, ‘এক ঝড়ে আমার সব শ্যাষ হইয়া গেল। আমার ছোট ছোট দুই পোলারে এতিম কইরা ওনি চইল্লা গেলো। ওগো আমি কি বুঝ দিমু। আল্লাহ আমার মরণ দিলো না ক্যান। আমার স্বামীকে তোমরা ফিরাইয়া দাও।’

জোনাকি আক্তার আরও বলেন, ‘সংসারের সুখের আশায় মোস্তাক বিদেশে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহ তা পূরণ করল না। যে বাসের কারণে আমার জীবনে অন্ধকার নেমে আসছে, তাদের কঠোর বিচার দাবি করি। আমি তাদের ফাঁসি চাই।’

জোনাকির ভাই মো. সেলিম বলেন, ‘মোস্তাক আগেও প্রবাসে ছিলো। গত কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন। এখন ব্যবসার অবস্থা ভালো না তাই আবার সিঙ্গাপুর যেতে চেয়েছিলেন। আমার বোনের দুই ছেলে। বড় ছেলে ইশানের বয়স ৮ বছর আর ছোট তাসমিনের বয়স ৪ বছর। ছোট ছেলেটা বোঝে না যে তার বাবা মারা গেছে। ’

মাদারীপুর জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। সবাইকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর