মাদারীপুরের শিবচরে রোববার সকালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বাসটির ১০ জনের বেশি যাত্রী।
নিহত আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন গোপালগঞ্জের মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার (২৫), একই জেলার বনগ্রামের শামসুল শেখের ছেলে মোসতাক আহমেদ (৪০), ইসমাইল হোসেন (৫৫), তৈয়ব আলীর ছেলে মো. হেমায়েত হোসেন (৩০), নড়াইলের বকুল শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার (৪০), গোপালগঞ্জের নওশের আলী শেখের ছেলে সমীর শেখ (২০), একই জায়গার কাঞ্চন শেখের ছেলে কাদির শেখ (৪০) ও একই জেলার অনাথি নাথ মন্ডল (২৫)।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে প্রাণ হারানো দুজনের একজন ৬০ বছর বয়সী পুরুষ, অন্যজন ২৫ বছরের যুবক।
আহত যাত্রীদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় একাধিক হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতজন হলেন ফয়সাল আহমেদ, আবদুল হামিম, বদরুদ্দোজা, পঙ্কজ কান্তি ঘোষ, ঝুমা, বুলবুল ও এনামুল।
শিবচর উপজেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, রোববার সকালে খুলনা থেকে যাত্রীবোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়েতে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় যানটির সামনের চাকা ফেটে যায। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে বাসটি খাদে পড়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, বাসটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই ১৪ জনের প্রাণহানি হয়। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ দুর্ঘটনায় মাদারীপুরে ১৭ জন নিহত হয়। বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।