বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামা-ভাগিনার হা-ডু-ডু

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা    
  • ১৯ মার্চ, ২০২৩ ১১:০৭

কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘এটা কুস্তি খেলা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলা। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। কুমিল্লাতে এই প্রথম খেলাটি যারা আয়োজন করছে তাদের আমি বলতে চাই সামনে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই খেলা আয়োজন করা হোক।’

কুমিল্লার টাউন হলে হয়ে গেল মামা ভাগিনার কুস্তি খেলা। শুধু খেলা দেখাই নয়, খেলার সুন্দর মুহুর্তগুলো নিজেদের মোবাইল ফোনে ভিডিও করেছেন অনেকে। দর্শকদের একটা বড় অংশ ছিল বিভিন্ন পেশার। তাদের কেউ রিকশাচালক, কেউ ভ্যানচালক, কেউবা ফেরিওয়ালা। আবার অফিস শেষ করে আসা বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবীদের সংখ্যাও কম নয়।

পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেল থেকে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লা টাউন হলে জমে ওঠে মামা ভাগিনার কুস্তি খেলা।

অধুনায় থিয়েটারের আয়োজনে এবং জেলা পুলিশের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কুস্তি খেলা বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও অধুনা থিয়েটারের পঞ্চম নাট্য উৎসবের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শহিদুল হক স্বপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেনসহ অন্যান্যরা।

খেলা দেখা শেষে রিকশাচালক সোহেল মিয়া বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের গ্রামে বহুত আয়োজন অইতো। এহন দেখলাম টাউন হলে। আমডার ছুট্টু বয়সের কথা মনে পড়ছে। কত বড় বড় কুস্তিগির আইতো।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘এটা কুস্তি খেলা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলা। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। কুমিল্লাতে এই প্রথম খেলাটি যারা আয়োজন করছে তাদের আমি বলতে চাই সামনে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই খেলা আয়োজন করা হোক।’

মামা-ভাগিনার হা-ডু-ডু খেলা নামে পরিচিত এই কুস্তি খেলায় দুইটি দলে অনুষ্ঠিত হয়। একদিকে মামা অন্যদিকে ভাগিনা থাকে। এই মামা ভাগিনা মূলত রুপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। মোট ১৮ জন খেলোয়াড় এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন। শনিবার রাত ১১টায় খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর