ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)। পরে তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে গাজীপুর মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন শুনানি শেষে মাহিয়া মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে জিএমপি পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির গ্রেপ্তার ও প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি জমি সংক্রান্ত ঘটনায় পুলিশ বিভাগ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ব্যাপারে ফেইসবুক লাইভে মিথ্যা মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রতিপক্ষের ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন। এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করার অধিকার রাখেন না। তার নামে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। তার প্রতিপক্ষের লোকজন জমি সংক্রান্ত ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি সংক্রান্ত মামলা করেছেন। মাহিয়া মাহিকে শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে শুক্রবার রাতে মাহিয়া মাহির প্রতিপক্ষের দেয়া মামলায় অভিযুক্ত ৩৮ বছর বয়সী সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ, ৩২ বছর বয়সী আশিকুর রহমান, ২২ বছর বয়সী ফাহিম হোসেন হৃদয়, ২৫ বছর বয়সী জুয়েল রহমান, ৪৪ বছর বয়সী জমশের আলী, ২২ বছর বয়সী মোস্তাক আহমেদ, ৩০ বছর বয়সী খালিদ সাইফুল্লাহ জুলহাস, ৩৪ বছর বয়সী সুজন মন্ডল ও ১৮ বছর বয়সী মাহবুব হাসান সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে বাসন থানার উপপরিদর্শক রোকন মিয়া বাদী হয়ে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে ডিজিটাল আইনে মামলা করেন। এছাড়া স্থানীয় ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করেন।