মেহেরপুরে দমকা বাতাস আর শিলা বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে কাঁচা-পাকা গম ও ভুট্টা ক্ষেত। বৃষ্টির সঙ্গে শিলা থাকায় গমের দানা কালচে হওয়ার আশঙ্কা চাষিদের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে আকাশ মেঘাছন্ন হয়ে শুরু হয় দমকা বাতাস আর ছোট ছোট শিলার সঙ্গে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি যা শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষ হয়। গত দুইদিনের ঘণ্টা চারেক বাতাস আর বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে কাঁচা-পাকা গম ও ভুট্টা ক্ষেত। গম নুয়ে পড়ে অল্প ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও শিলাবৃষ্টির কারণে গমের রং কালচে আকার ধারণ করতে পারে।
মেহেরপুর কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে গম ও ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
নিশিপুর গ্রামের কৃষক সোহেল বলেন, ‘যে বাতাস আর বৃষ্টি হয়েছে তাতে গম সব নুয়ে পড়েছে। গম কাটা যাবে বলে ভরসা পাচ্ছি না।’
করমদি গ্রামের ভুট্টা চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দুই বিঘা জমির ভুট্টা কেটে মাড়াইয়ের জন্য খোলাই এনে রাখার পর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। ভুট্টা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পর গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে গেছে। ভুট্টার রং কেমন হয়ে গেছে।’
একই এলাকার চাষি জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মাঠে থাকা ভুট্টা অর্ধেক কাটা হয়েছিল আর অর্ধেক মাঠে ছিল। বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার কারণে গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। নিচু জমি হওয়ার কারণে আবার পানি জমে গেছে। এখন গাছ থেকে ফসল সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যাবে।’
মেহেরপুর কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ‘দমকা বাতাসের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি হওয়ার কারণে মাঠে থাকা উঠতি ফসল বিশেষ করে গম, ভুট্টা, মসুরি নুয়ে পড়েছে। সেগুলোর কিছুটা ক্ষতি হবে এটা সঠিক, তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও সঠিক নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।’