বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জের আকাশে-বাতাসে টাকা ওড়ে: আইভী

  • প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ   
  • ১৭ মার্চ, ২০২৩ ২২:২৫

আইভী বলেন, ‘দশটি বছর যাবৎ আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছি। দেশবরেণ্য শিল্পীরা রঙ-তুলি দিয়ে ত্বকীকে নিয়ে ভাবনা ফুটিয়ে তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। স্বাধীন দেশে আমাদের সন্তানকে হত্যা করা হবে, এই রকম বাংলাদেশ অবশ্যই আমরা চাইনি। তবে একটি দেশে অনেক কিছুই হয়। অপরাধ কখনো বেড়ে যায়, কখনো কমে। সরকারের দায়িত্ব সেগুলো দমন করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়া।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আকাশে-বাতাসে টাকা ওড়ে। এ টাকার জন্যই যত সমঝোতা, যত হত্যা, যত নাটক। ভয় দেখিয়ে ভীত রাখার চেষ্টা। যারা অসৎ কাজ করে, অন্যায় কাজ করে, হত্যা করে, এই শহরের মানুষকে জুজুর ভয় দেখাতে চায় তারা সবসময়ই দুর্বল থাকে। শোষকগোষ্ঠী সবসময় দুর্বল। জনতার শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি।’

শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় ত্বকী হত্যার দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের কাছে ত্বকী হত্যার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি, আমার বাবাও এই দল করতেন। যতদিন বেঁচে থাকব আওয়ামী লীগই করব, জয় বাংলা বলব। তবে দলের ভেতরে থেকেও অন্যায়, অবিচারের প্রতিবাদ করব। ত্বকীর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জবাসী একত্রিত হয়েছে। দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ সকল হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে তারা প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। শত হুমকির মধ্য দিয়েও আমি তাদের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও আছি।’

আইভী বলেন, ‘দশটি বছর যাবৎ আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছি। দেশবরেণ্য শিল্পীরা রঙ-তুলি দিয়ে ত্বকীকে নিয়ে ভাবনা ফুটিয়ে তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। স্বাধীন দেশে আমাদের সন্তানকে হত্যা করা হবে, এই রকম বাংলাদেশ অবশ্যই আমরা চাইনি। তবে একটি দেশে অনেক কিছুই হয়। অপরাধ কখনো বেড়ে যায়, কখনো কমে। সরকারের দায়িত্ব সেগুলো দমন করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়া।’

হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র আইভী বলেন, ‘কত বড় দুঃসাহস হলে খুনিরা একটি বাচ্চাকে খুন করার পর ওই বাচ্চার পিতা যখন প্রতিবাদ করে তখন তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে। আমরা যারা তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি তাদের পরিবারকেও অত্যাচার করে, হুমকি-ধমকি দেয়। এইটা ২০২৩ সাল। ৪০-৫০ বছর যারা এই শহরকে শাসন করছেন এখনও আপনাদের হুমকি-ধমকি মানুষ মেনে নিবে, তা হবে না। হতে পারে না।’

‘শান্তিপূর্ণভাবে ত্বকী হত্যার বিচার চাচ্ছি। বিশৃঙ্খলা আমরা শহরে চাই না। ত্বকী হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। আমি সরকারের কাছে ত্বকীসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করার দাবি জানাই। আমাদেরকে মুক্তি দেন। আমরা এই ওসমানীয় সাম্র্যরাজ্য হাত থেকে মুক্তি চাই।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি যেসব অর্জন করছেন, সারাবিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে দাড় করাতে চাচ্ছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাচ্ছেন। সেই প্রচেষ্টা ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে নারায়ণগঞ্জের কতিপয় লোকজন। আপনি ভালো করেই তাদের চেনেন এবং জানেন, এই আসকারা, সাহস তারা কোত্থেকে পায়? নির্বিচারে মানুষ হত্যার লাইসেন্স তাদের কে দেয়?’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিহত ত্বকীর পিতা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, ‘চিত্রপটে ত্বকী’ পর্ষদের আহ্বায়ক শিল্পী জাহিদ মুস্তাফা, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শামসুল আলম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়সহ নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

অনুষ্ঠানে ত্বকীর স্মরণে দেশের ৪৭ জন বরেণ্য শিল্পীর আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে ‘চিত্রপটে ত্বকী’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর