বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালিকের কোমরে দড়ি: সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানা বন্ধ

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ১৭ মার্চ, ২০২৩ ১৪:২৯

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএসবিআরএ সদস্য, সীমা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালক পারভেজ হোসেন সান্টুকে কারখানায় বিষ্ফোরণ সংক্রান্ত মামলায় শিল্প পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর হ্যান্ডকাফ পরিয়ে এবং কোমড়ে রশি পেঁচিয়ে মর্যাদাহানিকর ও অপমানজনক অবস্থায় আদালতে হাজির করে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শিল্প পুলিশের এমন অন্যায়, নিন্দনীয় এবং গর্হিত কাজে পারভেজ হোসেন সান্টুর ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং ব্যবসায়িক মর্যাদাহানি হয়েছে।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানা ও সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)।

কোমরে দড়ি বেঁধে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক পারভেজ হোসেন সান্টুকে আদালতে হাজির করার প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাজভাঙা শিল্পমালিকদের সংগঠনটি।

উপজেলার বানু বাজারে বিএসবিআরএ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি। ওই রাতে সংবাদমাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএসবিআরএ সদস্য, সীমা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালক পারভেজ হোসেন সান্টুকে কারখানায় বিষ্ফোরণ সংক্রান্ত মামলায় শিল্প পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর হ্যান্ডকাফ পরিয়ে এবং কোমড়ে রশি পেঁচিয়ে মর্যাদাহানিকর ও অপমানজনক অবস্থায় আদালতে হাজির করে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শিল্প পুলিশের এমন অন্যায়, নিন্দনীয় এবং গর্হিত কাজে পারভেজ হোসেন সান্টুর ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং ব্যবসায়িক মর্যাদাহানি হয়েছে। এটি একজন শিল্প মালিকের প্রতি শিল্প পুলিশের অন্যায় আচরণ এবং মর্যাদাহানির পাশাপাশি দেশের সকল শিল্প মালিকের প্রতি অন্যায় আচরণ ও মর্যাদাহানির নামান্তর।

‘সীমা অক্সিজেন কারখানায় দুর্ঘটনার পর মালিকপক্ষ দুর্ঘটনায় হতাহতের মধ্যে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা এবং আহত প্রতিজনকে ৫ লক্ষ টাকা ও ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। মালিকপক্ষ এভাবে মোট ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। যথাযথ ক্ষতিপুরণ দেয়ার পরও সীমা অক্সিজেন কারখানার মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা কেন করা হলো, তা বোধগম্য নয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘কোডিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সীমা অক্সিজেন কারখানার মালিকপক্ষ অসংখ্য কোভিড রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য তাদের অক্সিজেন কারখানা থেকে বিনা মূল্যে হাজার হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেছেন। এ রকম একজন দায়িত্ববান, সমাজ হিতৈষী ও সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন বিশিষ্ট শিল্পপতির সাথে শিল্প পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এমন অন্যায় আচরণ করেছেন।’

সভায় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন অক্সিজেন কারখানার মালিক, শিপ ব্রেকিং শিল্পের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিল্পের মালিক ও শ্রমিকরা মানববন্ধন করবেন। পারভেজ হোসেন সান্টুকে মুক্তি ও দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানার উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও তার সঙ্গে ‘অন্যায়’ ও ‘মানহানিকর আচরণ করা’ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএসবিআরএ।

তবে শিল্প খাতে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদন বন্ধ থাকলেও চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএসবিআরএর সদস্য আবুল কাশেম।

এ বিভাগের আরো খবর