সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে দেশ-বিদেশের কোনো মহল চাপ দেয়নি বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন দাবি করেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে দেশি-বিদেশি কোনো চাপ আছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘দেশের কিংবা বিদেশের কেউ কোনো চাপ দেয় নাই।’
সংবিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচনে ইসি শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে আশ্বস্ত করে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন, বর্তমান ইসি শতভাগ সৎ, নিরপেক্ষ ভোট করবে।’
দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কমিশন চাইলে সেটা সম্ভব। পৃথিবীর সব দেশেই প্রায় দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। এটা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন কতটা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি এবং সেটা আমাদের ইচ্ছা আছে, অবশ্যই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’
অতীতের কমিশনগুলো কেন পারেনি, সেটি অতীতের কমিশন বলতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগের কমিশন আর বর্তমান কমিশনের লোক হচ্ছে ভিন্ন। তাদের আচরণের সঙ্গে এদের আচরণ মিলবে না।’
ইসিকে বিরোধী দলগুলো কেন আস্থায় নিতে পারছে না, এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘তারা কেন করছেন না, তারাই ভালো বলতে পারবেন, তবে আমাদের এক বছরের কার্যক্রম দেখে তারা কি বলতে পারবে আমরা নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছি অথবা কারও প্রতি আমাদের আচরণ, দুই প্রার্থীর প্রতি আচরণ দুই রকম হয়েছে?’
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না—এমন ধারণা ভাঙার দায়িত্ব কার জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ভাঙ্গার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। ‘রাজনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এ বিষয়টাতে আমাদের কিছু করার নেই। সংবিধানও সে দায়িত্ব আমাদের দেয়নি।’
সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন তারা স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমতো তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, ভোটগণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, নির্বাচনের ফলাফল যাতে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় ভোটারদের ইচ্ছার, সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সে দায়িত্ব পালনের প্রতি আমাদের শতভাগ অঙ্গীকার রয়েছে। আমরা সেটা করব।’