সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের প্রথম দিন বুধবার শেষ হয়েছে পুলিশের লাঠিচার্জ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে।
দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা ভোট দেয়া শুরু করলেও নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা।
ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের পক্ষে আইনজীবীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। অন্যদিকে এই ভোটগ্রহণকে তথাকথিত উল্লেখ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি নীল প্যানেলের আইনজীবীরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষ পাশাপাশি অবস্থান করে স্লোগান ও বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। কোনো ধরনের হামলা বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি।
এক পাশে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা ‘সাদা, সাদা’ বলছিলেন। ঠিক তাদের পাশেই গ্যাংওয়ের নিচে বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীরা ‘ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ছিলেন পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য।
প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ
এর আগে সকালে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের আট বিচারপতির কাছে এই নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
পরে নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন বন্ধ করুন।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল আইনজীবী-সাংবাদিকদের ওপর যে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি প্রধান বিচারপতিকে। এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। নির্যাতনের তদন্ত করে আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
‘বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। না হলে জাতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
একই প্যানেলের সম্পাদক পদপ্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রসহ নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের আট বিচারপতিকে দিয়েছি। নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক মুনসুরুল হক চৌধুরীর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানিয়ে আমরা বলেছি সাবকমিটির প্রধান যদি পদত্যাগ করেই থাকেন, তাহলে নতুন করে সাবকমিটি গঠনের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ নাই।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবী মুখোমুখি অবস্থানের ফলে বুধবার সারা দিন পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পুলিশের হামলায় সাংবাদিকসহ বিএনপির অনেক আইনজীবী আহত হন।