বিএনপিকে ভোট চুরির মহারাজা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে দফায় দফায় হামলা করেছে।
বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আপনাদের দলের (বিএনপি) এক নেতা ভোট চুরি করতে গিয়েছিল। এটা ধরা পড়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে জিততে তারা ব্যলট পেপার ছিনতাই করতে গিয়েছে। বুধবার সকালে নির্বাচনকে পণ্ড করতে হামলা করেছে।
‘৪০০ জন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে জঙ্গি কায়দায় তারা হামলা পরিচালনা করেছে, ভোট পণ্ড করার জন্য। ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে দফায় দফায় হামলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভোট চোর কাকে বলে, ভোট চোরের রাজা বিএনপি। আর বিএনপি উল্টো আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন সময় বলে। তারা আওয়ামী লীগের ওপর চাপাতে চায়। ১ কোটি ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তারা করেছিল ক্ষমতায় যেতে।’
জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন। নির্বাচন আমাদের মূল বিষয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাদের কার্যক্রমে তারা বোঝাচ্ছে তারা নির্বাচনে আসবেও না, নির্বাচন করতেও দেবে না। তারা ২০১৩-১৪ সালের মতো ষড়যন্ত্র করছে। অশুভ আলাপনও আমরা পাচ্ছি। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা যেতে তারা মত্ত হয়ে উঠেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমনও বলেছেন যে, নির্বাচনে কোন খারাপ কিছু ঘটলে তার দায় আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। তার মানে নির্বাচনের সময় খারাপ কিছু ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
‘তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের দিকে ফিরে যেতে চায়। তখন তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, তাই তারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেললে নিজেরাই পুড়বেন। আমরা যে কোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা সাংবিধানিক নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখবো। গণতন্ত্রের ট্রেন নির্বাচনের ট্রেন, কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় না পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের জন্য দেশের সার্বিক অগ্রগতি থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মহিউদ্দিন জালাল, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়শা খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।