বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমা অক্সিজেনের পরিচালক রিমান্ডে

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ১৫ মার্চ, ২০২৩ ১৮:৪৪

সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের দুদিন পর ১৬ জনকে এজহারনামীয় ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন নিহত এক শ্রমিকের স্ত্রী।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার পারভেজ উদ্দীন সান্টুকে একদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

বুধবার জেলার মুখ্য হাকিম কামরুন নাহার রুমীর আদালত এই রিমান্ড আদেশ দেয় বলে চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসাইন মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর জিইসি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শিল্প পুলিশ। তিনি সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের দুদিন পর ১৬ জনকে এজহারনামীয় ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন নিহত এক শ্রমিকের স্ত্রী।

মামলায় কারখানা মালিক তিনভাই মো. মামুন উদ্দিন, পারভেজ হোসেন সন্টু এবং মো. আশরাফ উদ্দিন বাপ্পি ছাড়াও কারখানার ১৩ কর্মকর্তা কর্মচারীকে এজহারনামীয় আসামি করা হয়। মালিকপক্ষের তিন ভাইয়ের মধ্যে মামুন উদ্দিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাকী দুজন পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন ম্যানেজার আব্দুল আলীম, অপারেটর ইনচার্জ শামসুজ্জামান শিকদার, অপারেটর খুরশিদ আলম, অপারেটর সেলিম জাহান, নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন, অফিসার সামিউল আোম এবং শান্তনু রায়, সুপারভাইজার ইদ্রীস আলী, সানাউল্লাহ, সিরাজ উদ-দৌলা, রাকিবুল এবং রাজিব। এ ছাড়াও দায়িত্বে অবহেলাকারী সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের অজ্ঞাত কর্মকর্তা কর্মচারীদের আসামি করা হয়েছে মামলায়।

৪ মার্চ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের কদম রসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই প্ল্যান্ট ও পাশের তিনতলা অফিস ভবনে আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৯ টি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

বিস্ফোরণে প্ল্যান্টের পাশে অফিসভবন সহ আশেপাশের কয়েকশ ভবনের কাঁচের দরজা-জানালা ভেঙে পড়ে। ধসে পড়ে অফিসের ইটের দেয়াল। তাছাড়া বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। আশপাশ সহ আধা কিলোমিটার দূরেও ছিটকে পড়ে অসংখ্য লোহার টুকরো।

স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত ও ২৫ জন আহতে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর বাইরেও আহত অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কানে কম শুনছেন কদমরসুল এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ। নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি।

এ বিভাগের আরো খবর