বাংলা বর্ণমালা থেকে সাতটি বর্ণ বাদ দেয়ার একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে; তবে যে প্রতিষ্ঠানের নাম করে এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেই বাংলা একাডেমি বলেছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত স্বায়ত্তশাসিত এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার সামাজিক যোগাযোমাধ্যম ফেসবুকে একটি মেসেজের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ওই স্ক্রিনশটে লেখা রয়েছে, প্রিয় সুধী, ‘আগামী ২০২৪ সালে বাংলা স্বরবর্ণ থেকে ঈ, ঊ, ঋ এবং বাংলা ব্যঞ্জন বর্ণ থেকে ঞ, ণ, ঢ়, ৎ বাদ দেয়া হবে।’ মেসেজের নিচে প্রেরক হিসেবে লেখা হয়েছে, ‘সেলিনা হোসেন। সভাপতি। বাংলা একাডেমি।’
ওই পোস্টটি দেয়া হয়েছে একটি ফোন নম্বর থেকে আসা মেসেজের ওপর ভিত্তি করে। তবে যে নম্বর থেকে মেসেজটি এসেছে, সে নম্বরে কয়েকবার ফোন করলেও কেউ ধরেননি।
বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আমি এমন কিছু জানি না। এমন কোনো সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমি নেয়নি। এটি গুজব।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আনসারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো বর্ণ বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ বাংলা একাডেমির নেই। আসলে বাংলা একাডেমি তো কোনো বর্ণ বাদ দেয়ার বা সংযুক্ত করার কর্তৃপক্ষও না।’
বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ সবমিলিয়ে ১১টি। ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা ৩৯। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানে বহুদিন ধরে প্রচলিত ‘ঈদ’ শব্দের বানান পরিবর্তন করে ‘ইদ’ লিখে আলোচিত হয়।