বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আতিয়া মহল জঙ্গি আস্তানা’ মামলার রায় ৫ এপ্রিল

  • প্রতিনিধি, সিলেট    
  • ১৫ মার্চ, ২০২৩ ০৮:৫০

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মুমিনুর রহমান টিপু জানান, মঙ্গলবার তিন আসামির উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এরপর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।

সিলেটের আলোচিত ‘আতিয়া মহল জঙ্গি আস্তানা’ মামলার রায় আগামী ৫ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার দিন চূড়ান্ত করেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মুমিনুর রহমান টিপু জানান, মঙ্গলবার তিন আসামির উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এরপর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।

আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানা গড়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করে বলে জানান তিনি।

এই মামলার আসামিরা হলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্য, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারী গ্রামের জহুরুল হক ওরফে জসিম, তার স্ত্রী মোছা. আর্জিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা ও একই এলাকার মো. হাসান।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের সবাইকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়।

২০১৭ সালের ২৩ মার্চ রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহল নামের বহুতল ভবনে জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু হয়। ২৪ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত টানা ১১১ ঘণ্টা সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল আতিয়া মহলে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ পরিচালনা করেন। এই অভিযান শেষে ভবনের ভেতরে একজন নারীসহ চার জঙ্গির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে অভিযান চলাকালে আতিয়া মহলের অদূরে বোমা বিস্ফোরণে র‌্যাবের তৎকালীন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, দুইজন পুলিশ পরিদর্শকসহ সাতজন নিহত হন।

এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানায় আলাদা তিনটি মামলা হয়। এরপর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে জহুরুল ও আর্জিনাকে এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক দেওয়ান আবুল হোসেন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এতে জহুরুল, আর্জিনা ও হাসানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

এদের মধ্যে আতিয়া মহলে অভিযানের সময় নিহত চারজন ও মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত আরেকজনকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়।

আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পরপর মৌলভীবাজারের নাসিরপুর ও বড়হাটে দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এ সময় নাসিরপুরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে সপরিবারে নিহত হন জেএমবি সদস্য লোকমান হোসেন ওরফে মোশাররফ হোসন ওরফে সোহেল। আতিয়া মহলের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

আতিয়া মহলে নিহতদের মধ্যে জহুরুলের বোন মনজিয়ারা বেগম ওরফে মর্জিনা ও তামিম আহমেদ ফরাজী ছিলেন। বাকি দুজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর