হোসনে আরা বেগম নিজের শিশু সন্তানের পায়ে পলিথিন মুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দিতেন। সেই পোড়ার ক্ষত দেখিয়ে মেয়েকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। আর সেই ভিক্ষার টাকায় জুয়ার আখড়ায় লুডু খেলতেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই সন্তানের ওপর এমন অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে নিজের জুয়ার নেশার টাকা যোগাড় করে আসছিলেন এই নারী। অবশেষে তাকে ধরেছে পুলিশ।
রোববার চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ বদনাশাহ মাজার এলাকা থেকে হোসনে আরাকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন।
হোসনে আরার বিরুদ্ধে হওয়া এক মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ এমন তথ্য জানতে পারে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মর্জিনা আকতার এ তথ্য জানান।
সোমবার হোসনে আরাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হোসনে আরা নিজের একমাত্র মেয়েকে দিয়ে ভিক্ষা করান। ভিক্ষা করাতে গিয়ে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য তিনি সন্তানের শরীরের দৃশ্যমান বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি করেন। আর মেয়েকে এই ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানোর উদ্দেশ্য তার জুয়ার নেশার খরচ যোগানো। সন্তানকে দিয়ে ভিক্ষা করানোর মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে তিনি জুয়া তথা ছক্কা খেলতেন।
চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ মডেল থানার এসআই নুরুল আলম মিয়া বাদী হয়ে হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে শিশু আইন-২০১৩ এর ৭১ ধারায় মামলা করেন।
হোসনে আরার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। মেয়ে রাশেদা আকতারকে গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে পরবর্তীতে গৃহকর্তাদের অহেতুক হয়রানি করে টাকা আদায়ের জন্য মিথ্যা মামলা করেন তিনি।