বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৃণমূলে ছুটছেন আওয়ামী লীগ নেতারা

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২৩ ১১:২২

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরিপের ফলের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যার পরই তৃণমূলমুখিতা বেড়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এক বছরেরও কম সময় আগে তৃণমূলে ছুটতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সাংগঠনিক প্রয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা সফরের পাশাপাশি নিজ নির্বাচনি এলাকায় যাতায়ত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরিপের ফলের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যার পরই তৃণমূলমুখিতা বেড়েছে।

স্থানীয় নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও যোগাযোগ না থাকলে কারও নির্বাচনে জেতার সুযোগ থাকে না বলে উঠে আসে জরিপের ফলে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার নির্বাচনি এলাকায় যাতায়াত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বশেষ নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে আয়োজিত মেজবানে প্রায় অর্ধলাখ নেতা-কর্মী নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তিনি। সেখানে মধ্যাহ্নভোজে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অংশ নেয়ার পাশাপাশি তাদের খোঁজখবর নেন কাদের।

ঢাকা থেকে নিজের আসনের মানুষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন ওবায়দুল কাদের। মাসে অন্তত তিন থেকে চারবার নোয়াখালীতে যাচ্ছেন তিনি।

বেশ তৎপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি নির্বাচনি এলাকাতেই থাকেন। নিয়মিতই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার ভোটাররাও হাজির হচ্ছেন নানকের রাজনৈতিক কার্যালয় ও বাসায়।

প্রতিদিনই ঢাকা-১৩ আসনের কোনো না কোনো অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন নানক। সেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা ও দিকনির্দেশনা দেন তিনি। ভোটারদের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও দিয়ে থাকেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আবদুর রহমানও নিয়মিতই যাচ্ছেন ফরিদপুরে নিজ এলকায়। এ ছাড়া স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ফোনে ইস্যুভিত্তিক যোগাযোগও করেন, যে কারণে নিজ আসনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে তার।

দলের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম তার নির্বাচনি এলাকা কেরানীগঞ্জে সম্ভাব্য সব সামাজিক অনুষ্ঠান যোগ দেন। বিয়ে, জন্মদিন, মিলাদ মাহফিলে ডাক পেলেই যান তিনি।

কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এলাকার মানুষ নিয়েই আমার রাজনীতি। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। যে কেউ যেকোনো বিষয়ে আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে।

‘আমি এলাকার যেকোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি, সাধ্যমতো মানুষকে সহযোগিতা করি।’

দলের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিয়মিত এলাকায় যান। দেশে থাকলে প্রতি সপ্তাহেই ছুটিতে যান চট্টগ্রাম। রাঙ্গুনিয়ার মানুষের ভালো-মন্দের খোঁজখবর নেন।

সরকারি বাসভবনে রাত ৮টার পর নিয়মিত এলাকার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন হাছান মাহমুদ। এর পাশাপাশি ভার্চুয়ালিও নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।

দলটির আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ নিজ এলাকা কুষ্টিয়ায় যান নিয়মিত।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও নির্বাচনি এলাকা মাদারীপুরে সুযোগ পেলেই যান। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিও সুযোগ পেলে তার নির্বাচনি এলাকা চাঁদপুর-৩ আসনে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ইদানীং আগের তুলনায় অনেক বেশি যাতায়াত বাড়িয়েছেন তিনি।

মাহবুব উল-আলম হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজনীতি নির্বাচন বা ইস্যুভিত্তিক করি না। রাজনীতির মূল কথাই হলো জনকল্যাণ। যারা আমাকে প্রতিনিধি নির্বাচন করে সংসদে পাঠিয়েছে, তাদের সুখ-দুঃখ, বিপদ-আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করি।’

গত ১২ জানুয়ারি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সভাপতি শেখ হাসিনা সংসদ সদস্যদের হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘এমপিদের আমলনামা দেখেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হবে। জনগণের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান, তারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন। জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন দেয়া হবে না।’

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, দলটির সভাপতি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জরিপ করেছেন। তার কাছে জরিপ প্রতিবেদন আছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতিটি আসনে জরিপ চলছে। প্রতি ছয় মাস পর পর তা আপডেট করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর