বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্ত্রী হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের বিচার শুরু

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম    
  • ১৩ মার্চ, ২০২৩ ১৮:১৩

‘দুপুরে শুনানি হয়েছে, শুনানিতে আসামিদেরও হাজির করা হয়েছে। শুনানি শেষে বিকেলে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে আসামিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার এ মামলার অভিযোগ গঠন করে এই আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন। ৯ এপ্রিল থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর নির্দেশ দেন তিনি।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘দুপুরে শুনানি হয়েছে, শুনানিতে আসামিদেরও হাজির করা হয়েছে। শুনানি শেষে বিকেলে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে আসামিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এদিন বাবুল আক্তারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি, তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখার আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। আদালত বাবুলকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখার নির্দেশ দিলেও বাকি দুটি আবেদন খারিজ করে দেন বলে জানান তার আইনজীবী শিশির মনির।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।

এ ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত দাবি করে বাবুল আক্তার মামলা করেন পাঁচলাইশ থানায়। তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরাো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গত বছরের ১২ মে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

হত্যায় ‘বাবুল জড়িত’ বলে সন্দেহ হলে একই দিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন আরেকটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখায়।

বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে নারাজি দেন বাবুলের আইনজীবী। আদালত ৩ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে আদালত বাবুলকে নিজের করা মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয়।

এর মধ্যে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি পিবিআই মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এতে ওই মামলায় গ্রেপ্তার আসামি বাবুলসহ অন্যদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। মামলাটিতে পাওয়া সব তথ্য-উপাত্ত বাবুল আক্তারের করা মামলায় একীভূত করতেও আবেদন জানানো হয়।

পিবিআইয়ের অধিকতর তদন্তে বাবুল আক্তারের করা মামলায় তাকেই আসামি করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই।

পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়, খুনের পুরো ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ৬ জন। অস্ত্র সরবরাহ করেন আরেকজন। কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দেন বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা।

২০১৬ সালে মিতু খুনের পর গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে দেয়া ওয়াসিম ও আনোয়ারের জবানবন্দিতে কামরুলের নির্দেশে খুনের কথা উঠে আসে। এরপর ২০২১ সালের ২৩ অক্টোবর আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জবানবন্দিতেও বাবুলের নির্দেশে তার সোর্স মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা মিতুকে খুন করে বলে জানান।

জবানবন্দিতে ভোলা বলেছিলেন, নির্দেশ না মানলে তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বাবুল। তবে ঘটনার কয়েক দিন পর কামরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে পুলিশে ধরে নেয়ার কথা বললেও পুলিশ বলেছে তিনি নিখোঁজ।

বাবুল ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। এর মধ্যে মুসা ও খাইরুল ছাড়া বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

যে চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাক্কু, আবু নাছের, নুরুন্নবী ও মো. রাশেদ। এর মধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর