বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪০ জনের নাম খয়রাত করে ইউনূসের জন্য বিজ্ঞাপন কেন: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ মার্চ, ২০২৩ ১৮:০৮

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘...যিনি এত নামীদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্যই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন; আর কিছু না।’

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ৪০ জনের নাম খয়রাত করে কেন বিজ্ঞাপন দিতে হবে, সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাতার সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সম্প্রতি একটি খোলা চিঠি দেন ৪০ বিশ্বনেতা। যৌথ এ চিঠি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। চিঠিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পূর্ণ বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়।

এতে বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমরা বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আপনাকে লিখছি। আপনার দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই আমরা আপনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের একজন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মহান অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আপনাকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখছি।’

সে চিঠির প্রসঙ্গ টেনে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যখন কাতারে ছিলেন, তখন ৪০ জন বিদেশি নাগরিকের একটা বিবৃতি বা একটা আপিল সেটা আপনার কাছে বা আপনার দপ্তরে পৌঁছেছে কি না বা আপনি দেখেছেন কি না এবং এটা ওয়াশিংটন পোস্টেও বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়েছে এবং বলা হয়েছে আপনার অ্যাড্রেসে এটা পাঠানো হয়েছে। আপনি পেয়েছেন কি না আমি এটা জানতে চাই। এ বিবৃতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য আশা করছি।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

ওই প্রশ্নের উত্তরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এটা বিবৃতি ঠিক না। এটা একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন) এবং যে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে।

‘এর উত্তর কী দেব জানি না, তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আমার প্রশ্নটা হলো, যিনি এত নামীদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্যই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন; আর কিছু না।’

তিনি বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন কেন দিতে হলো? যে যাই হোক, আমার দেশে কতগুলো আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং সেটা চলে। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। যারা ট্যাক্স ঠিকমতো দেয়, সেটার আলাদা বিভাগ আছে, ট্যাক্স আদায় করে।

‘কেউ যদি এখন এ সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোনো অধিকার কেড়ে নেয়, শ্রম আদালত আছে; সেটা দেখে। এই ক্ষেত্রে তো আমার কোনো কিছু করার নাই সরকারপ্রধান হিসেবে। কাজেই আমাকেই বা কেন এখানে বলা হলো? এর বাইরে আমি আর কী বলব! পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। খালি এইটুকু সবাইকে স্মরণ করে দিলাম।’

এ বিভাগের আরো খবর