আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ায় এখন আর ভোট চুরির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাতার সফর শেষে সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
সরকারপ্রধানের বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। রাজনৈতিক স্থতিশীলতা থাকলে উন্নয়ন হয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’
একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত তারা কিছু করতে পারবে না। সাময়িকভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরি করলে জনগণই তা মোকাবিলা করবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করে। সে জন্যই মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।
‘মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগই আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। জনগণকে দেয়া প্রতিটা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে। যদিও করোনা ও যুদ্ধের কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে, তা না হলে দারিদ্র্যের হার আরও দুই থেকে তিন শতাংশ কমানো সম্ভব হতো।’
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। আর আওয়ামী লীগ এ লক্ষ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারে আসার আগে ভুয়া ভোটার তালিকা ও ভোট চুরির বিষয়টি উল্লেখ করে দলটির সভাপতি বলেন, ‘এসব বন্ধের লক্ষ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়েছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হলেও অনেকের আপত্তি থাকায় বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করেছে এবং সেই আইনের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। ইসির আর্থিক স্বাতন্ত্র্য দেয়া হয়েছে। এসব কারণে এখন আর ভোট চুরির সুযোগ নেই। জনগণ খুশি মনে যাকে খুশি ভোট দিতে পারবেন।