ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘুমন্ত স্বামীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের সোনালীমোড় এলাকায় রোববার রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই ব্যক্তির নাম মো. রবিউল আউয়াল তালুকদার। তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে। স্ত্রী সাফিয়া গলা কেটে স্বামী রবিউলকে হত্যার পরপরই ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেছে।
রবিউলের স্ত্রীর সাফিয়া আক্তার শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার মাঝির হাট ইউনিয়নের নশাসন গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে।
রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাফিয়ার দেয়া তথ্যের বরাতে পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহ থাকায় রবিউল ও সাফিয়ার মধ্যে কিছু দিন আগে থেকে সম্পর্কের অবনতি হয়। ঘটনার দিন রাতে সাফিয়া খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় রবিউলকে। রাত দেড়টার দিকে হাত-পা, মুখ বেধে ধারালো ছুরি দিয়ে ঘুমের মধ্যে রবিউলকে জবাই করে সাফিয়া।
স্বামী রবিউল আড়াই মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে জমিজমা ওই স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছে। তাই সাফিয়ার দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেছে সাফিয়া।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, ২০০৫ সালে রবিউল ও সাফিয়া প্রেমের সর্ম্পক করে ঢাকায় বিবাহ করেন। তাদের দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে রাফিন নবম শ্রেণীতে পড়ে আর ছোট ছেলে সাকিব ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।
রবিউল ইজিবাইক চালিয়ে ছেলেদের লেখাপড়া ও সংসার চালাতো। বর্তমানে রবিউল ২য় বিয়ে করেছে বলে সাফিয়া সন্দেহ করে আসছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। ঘটনার দিন রোববার সন্ধ্যা থেকেই সাফিয়া তার স্বামীর প্রতি খুব ক্ষিপ্ত ছিল। বাড়ির সামনে স্বামীর জন্য দা নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে হাতে থাকা দা দিয়ে রাস্তার পাশের চারটি কলাগাছও কেটে ফেলেন সাফিয়া।
রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ‘রাতেই সাফিয়াকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এর পরেই আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।’