রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা ডাকাতির পর বেশকিছু টাকা ভরা হয় বস্তা ও বাজারের ব্যাগে। এর মধ্যে বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা। তবে কিছু টাকা ফেলে যাওয়া হয় ব্যাগের অভাবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ রোববার দুপুরে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চারটি ট্রাংকের মধ্যে দুটি ট্রাংকের টাকা ডাকাতরা দুটি চালের বস্তা ও পাঁচটি বাজারের ব্যাগে ভরে। দুটি বস্তা ও চারটি বাজারের ব্যাগে রাখা টাকা নিয়ে যায় তারা। তবে তারা একটি বাজারের ব্যাগভির্তি টাকা এবং বাকি ট্রাংকগুলো গাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। টাকা নেয়ার ব্যাগ না থাকায় বাকি টাকাগুলো ফেলে যায় তারা।
গত ৯ মার্চ উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের গাড়ি থেকে ছিনতাই হয় ডাচ-বাংলার ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। মাইক্রোবাসটি মিরপুর ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। ওই টাকার বড় অংশ এরই মধ্যে উদ্ধার হয়েছে।
মহানগর ডিবির প্রধান হারুন বলেন, ‘ডাকাত দলের ওই সদস্যরা গত ৮ মার্চ একটি হাইস মাইক্রোবাস সিলেট যাওয়ার জন্য ভাড়া করে। পরদিন ৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টায় ড্রাইভারকে কুর্মিটোলা যাত্রী ছাউনীর সামনে আসতে বলা হয়। গাড়ি আসার পর পেছনে সিট ঠিক করার কথা বলে তারা ড্রাইভারকে পেছনে নিয়ে তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।’
তিনি বলেন, ‘গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় ওৎ পেতে বসে থাকে ডাকাতরা। আগে পাওয়া তথ্যমতে, নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়িটিকে অনুসরণ করার জন্য অপেক্ষার এক পর্যায়ে মানি প্ল্যান্টের গাড়িটি আসলে তারা পেছন পেছন অনুসরণ করে।’
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ‘ডাকাতরা মানি প্ল্যান্টের গাড়িকে একবার সামনে অতিক্রম করে আবার পেছনে চলে যায়। নির্জন জায়গায় যাওয়ার পর এক পর্যায়ে টক্কর লাগিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু করে তারা। এরপর গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা চলে যায়। পরে ডাকাতরা টাকাসহ গাড়ি নিয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় যায়।
‘পথে ডাকাতরা তাদের পাঁচজন সঙ্গীকে নামিয়ে দেয়। দুটি ট্রাংক থেকে টাকা বের করে তাদের সঙ্গে থাকা দুটি চালের বস্তা ও পাঁচটি বাজারের ব্যাগ ভর্তি করে তারা। গাড়ির ভেতরেই তারা কাপড় পরিবর্তন করে। টাকা নেয়ার জন্য আর কোনো ব্যাগ না থাকায় বাকি ট্রাংকে তারা টাকা রেখে পালিয়ে যায়।’
ডাকাতিতে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডে আসার পর বিস্তারিত আরো তথ্য জানা যাবে।’