দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনতে বিব্রত হয়েছে হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিটের শুনানি করতে বিব্রত বোধ করে। এর ফলে আবেদনটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান নিউজবাংলাকে বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানিয়ে রিট করেছিলাম।
আইনজীবী আজিজ খান বলেন, ওই রিটটি শুনানি করতে গেলে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি শুনতে বিব্রত বোধ করেন। এর ফলে রিটটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেবে এই বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি আরেকটি তৃতীয় বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সেখানে আমরা শুনানি করবো।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি-দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী। পরে ৭ মার্চ তিনি রিট করেন। রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।