রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ছিনতাই হওয়া টাকার আরও একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এবার উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০।
ঢাকার বনানী, উত্তরা ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে শনিবার এ ঘটনায় অভিযুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যে ওই টাকা উদ্ধার হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে রোববার দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডিবি জানিয়েছে, শনিবার বনানী থেকে সানোয়ার হাসান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার হেফাজত থেকে ১ কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।
এ ছাড়া মিলন ওরফে ইমনকে বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার জোয়ার সাহারার বাসা থেকে ৩২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আকাশ ও সাগরকে। তাদের বাসা থেকে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়।
ডিবির আরেকটি টিম সুনামগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বদরুল আলম মিজানুর রহমান, সানাই মিয়া ও এনামুল হক বাদশাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ মার্চ উত্তরার দিয়াবাড়ির ১৬ নম্বর সেক্টরে ব্রিজের কাছে একটি গাড়ি থেকে ট্রাংকভর্তি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা। মাইক্রোবাসটি মিরপুর ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল।
পরে অভিযানে উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া টাকার একটি অংশ। যে গাড়িতে টাকা নেয়া হচ্ছিল সেই মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ থেকে সাতজনের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাংক খুলে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফুল ইসলাম।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ছিনতাই হওয়া ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ঠিক কত টাকা উদ্ধার হয়েছে প্রথমে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল। ডিবি প্রথমে জানিয়েছিল, ৯ কোটি। পরে অবশ্য থানা পুলিশ জানায়, টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার।
এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে ডিএমপি ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তো ট্রাংক খুলে টাকা গুনি নাই। অনুমান করে বলেছি।’