বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাইক চুরি করতেন নুরু, রং পাল্টে বেচতেন মুছা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ মার্চ, ২০২৩ ১৩:১৮

জিএমপির ভাষ্য, মুছার কাছে বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা বাইক বিক্রি করতেন নুরু মিয়া। মুছা দুই সহযোগীর মাধ্যমে রং ও আকৃতি পরিবর্তন করে সেসব বাইক বিক্রি করতেন।

আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতা মুছা মিয়া (২৮) ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) শনিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

জিএমপির ভাষ্য, মুছার কাছে বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা বাইক বিক্রি করতেন নুরু মিয়া। মুছা দুই সহযোগীর মাধ্যমে রং ও আকৃতি পরিবর্তন করে সেসব বাইক বিক্রি করতেন।

জিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিএমপির বাসন থানার একটি তদন্ত দল গাজীপুর মহানগর এলাকা থেকে গত ৫ মার্চ কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার টেংগুড়িয়া গ্রামের নুরু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল চুরি, ক্রয়-বিক্রয় চক্রে জড়িত মুছা মিয়া এবং তার দুই সহযোগী শাহ আলম (৩৮) ও আরিফকে (৩১) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মুছা ও সহযোগীদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দল একটি বাইক চুরির মামলার আলামত উদ্ধার করে। সে বাইকটি উদ্ধারের জন্যই তদন্ত সংশ্লিষ্ট দল বেশ কিছুদিন ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল।

জিএমপি আরও জানায়, মুছার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার পনিআউট এলাকায়। তিনি আদালতের কাছে বাইক চুরির বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তার হেফাজত থেকে চোরাই বাইকের সামনে অংশের কিট উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও মুছার কাছ থেকে বিভিন্ন চোরাই বাইকের পাঁচটি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট, আটটি ভাঙা লক, বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ ও বাইক খোলার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

জবানবন্দিতে কী জানালেন আসামিরা

মুছাসহ অন্য আসামিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নুরু গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাইক চুরি করে মুছার কাছে বিক্রি করতেন। মুছা তার দুই সহযোগীর মাধ্যমে রং ও আকৃতি পরিবর্তন করে সেসব বাইক বিক্রি করতেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তার শাপলা ম্যানশনের সামনে থেকে একটি ইয়ামাহা আর১৫ মডেলের বাইক চুরি হয়। সে ঘটনায় বাসন থানায় মামলা করেন বাইকের মালিক।

ওই মামলার পর বাসন থানার একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে নুরুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুছা ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মুছা ও নুরু বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর