আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে ৫০ বছরে আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে চলে যান। ৫০ বছর পর আবার দেখা হবে।’
শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় নুর আহম্মেদ সড়কে কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আমির খসরু বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময়ে খারিজ করে দেয়া মামলা এবং গত ১১ বছরের গুম-খুনের মামলাগুলোকে একত্রিত করলে সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের একটিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাওয়া যাবে না। তাদের সবাইকে জেলে যেতে হবে। বিচারের আওতায় আসতে হবে। কেউ ছাড় পাবে না।’
আমির খসরু বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিস্ফোরণগুলো হচ্ছে এগুলোকেও ক্ষমতাসীনরা রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। তারা এটা করছে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরশাদের পতনের সময়ও মন্দিরে মন্দিরে আক্রমণ হয়েছিল।
‘স্বৈরাচাররা যখন পতনের অবস্থানে চলে যায় তখন তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে। তারা আরও করবে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। দলটি রাজনৈতিকভাবে দৈন্যদশায় পড়ে গেছে। দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার অন্য খেলার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা আইন করেছে এ নির্বাচনে ভোট চুরির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আসবে। এটা তো বাইরে থেকে আসবে। আর ভেতর থেকে তাদের বিচার হবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান প্রমুখ।