রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন বারো তলা ভবনের ছাদ ধসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
শনিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার গণকবাড়িতে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ধসে যাওয়া ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ‘এখানে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমরা আজ এর জন্যই এখানে এসেছি। সব কিছু দেখলাম। আর আমার লোকজন হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখছেন।
‘আমাদের (কর্মকর্তারা) যারা এই ভবনের কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের ব্যাপারেও আমরা দেখবো। তাদের কতটুকু গাফিলতি হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখবো। এটা মূলত ঠিকাদারের ব্যাপার, এখানে যদিও আমাদের কিছু নেই। তবুও সব আমরা খতিয়ে দেখবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এমন তিনটি কমপ্লেক্স রয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহে। এটি গুরুতর নয়। সাধারণ উচ্চতা যখন বেশি হয় তখন দুটো উচ্চতায় ট্রপিং করে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে তারা খেয়াল করেনি একটার ওপর আরেকটি ঠিকভাবে আছে কি না। না থাকলে স্লিপ করতে পারে। আসলে ঘটনাটি এটিই হয়েছে। ছাদও ঢালাই হয়নি কাছাকাছি কিছু ভিম ঢালাই হচ্ছিল তখনই এ ঘটনাটি ঘটে। পুরোটা দেখে বুঝেছি কিছুটা তো গাফলতি আছে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা যে সিদ্ধান্ত বেধে দিয়েছি, সেটা হলো কন্টেক্টর ধসে যাওয়া অংশ সব পরিষ্কার করে নতুন করে কাজ করবে। আর পরবর্তী কাজ যথাযথভাবে করার বিষয়টি নিশ্চিত রাখতে বলেছি । যাতে এ ধরনের অঘটন আর না হয়।’
পরিদর্শনকালে এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল ইসলাম, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক দেবাশীষ পাল, পরমাণু শক্তি কমিশনের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পরমাণু শক্তি কমিশন সূত্রে জানা যায়, এটি পেট সিটি ও সাইক্লোট্রন স্থাপন প্রকল্প। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরমাণু শক্তি কমিশন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে৷ পরমাণু প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যন্সার রোগী নির্ণয় ও নিরাময়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ভবন এটি।
শুক্রবার বিকেলে ভবনটির ১২ তলা নির্মাণাধীন ছাদ ধসে যায়। এতে একজন গুরুতরসহ অন্তত ৭ জন শ্রমিক আহত হয়।