ঠাকুরগাঁওয়ে শান্তি সমাবেশ থেকে উঠে গিয়ে বিএনপির মাইকের তার ও পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির মানববন্ধন ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালীন শনিবার বেলা ১২টার দিকে শহরের চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুই দলের সমর্থকগণ মুখোমুখি অবস্থানে গেলে স্লোগান দেয় এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরজমিনে দেখা যায়, চৌরাস্তার বঙ্গবন্ধু সড়কে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে বিএনপির সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি পবারুল ইসলাম।
একই সময় পাশের শহীদ মোহম্মদ আলী সড়কে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি আবু নূর।
আওয়ামী সমর্থক সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক নেতা আলভীর আহম্মেদ রুসাদ বলেন, ‘আমরা শান্তি সমাবেশে বক্তব্য শুনছিলাম। বিএনপি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের অনুষ্ঠান বানচাল করতে উচ্চশব্দে আমাদের এদিকে মাইক তাক করেছিল।
‘এ সময় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বিএনপির মানববন্ধনের আওয়াজ আসলে শান্তি সমাবেশ থেকে উঠে গিয়ে ল্যাম্প পোস্টে উঠে মাইকের তার ও একটি টাঙ্গানো পোস্টার ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয় আওয়ামী সমর্থকরা। পরে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ সময় বিএনপি সমর্থকরা সামনে আগালে পুলিশ দুপক্ষকে সরিয়ে দেয়।’
অন্যদিকে জেলা যুবদলের সভাপতি আবু নূর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন রাস্তা ব্লক করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে শান্তি সমাবেশ করছে। তখন আমরা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে শান্তি বজায় রেখে মানববন্ধন করছি। তারা কোন সমস্যার কথা না জানিয়ে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা করতে মাইকের তার ও পোস্টার ছিঁড়েছে।’
বিএনপির মানববন্ধনে বক্তব্য দেয়ার কথা আছে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান ও সদ্য পদত্যাগ করা এম পি জাহিদুর রহমানের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার কথা ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের।