প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ময়মনসিংহের সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই বিভাগের চার জেলা ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর এবং নেত্রকোণার হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। নেতা-কর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে নগরী এখন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বিকেলে নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। এ নিয়ে আগে থেকেই নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সতর্ক আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা শুক্রবার থেকেই ময়মনসিংহ শহরে অবস্থান করছেন। সমাবেশকে ঘিরে নগরীতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সার্কিট হাউজের জনসভায় ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ চার বছর পর আবারও এই নগরীতে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
এদিন জনসভাস্থল সার্কিট হাউস মাঠ থেকে একযোগে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান।
বঙ্গবন্ধুকন্যার আগমন উপলক্ষে পুরো ময়মনসিংহে এখন সাজ সাজ রব। নগরীর প্রতিটি সড়কে ব্যানার-ফেস্টুন, তোরণে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়নের ফিরিস্তি। ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বরণ করতে অপেক্ষা করছেন সবাই।
জনসভাস্থল সার্কিট হাউস মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল নৌকা আকৃতির মঞ্চ। রঙিন বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা মাঠ। বাঁশের ব্যারিকেড, আর্চওয়ে দিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে মাঠে।
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তায় প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সরকারের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবের বিভিন্ন টিম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহলরত অবস্থায় রয়েছেন।