বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোকাকোলা পান করার পর ৬ জন হাসপাতালে

  • প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা    
  • ১১ মার্চ, ২০২৩ ১২:৪৮

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়া মা আরিজ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে অসুস্থ হয়ে ছয় জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। ওই পরিবারের লোকজনের অভিযোগ তারা কোকাকোলা পান করে অসুস্থ হয়েছেন। আমরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

চুয়াডাঙ্গায় কোমল পানীয় কোকাকোলা পান করার পর অসুস্থ হয়ে ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থ ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের কৃষি খামারের মালিক তেইপুর গ্রামের শেষের পাড়ার আসাবুল হকের চার ছেলে ২২ বছর বয়সী ইয়াছিন আলী, ১৭ বছর বয়সী হুসাইন আলী, ১২ বছর বয়সী হাসাইন হোসেন ও ৭ বছর বয়সী আব্দুল হাকিম এবং কৃষি খামারের প্রজেক্ট ম্যানেজার ৩৫ বছর বয়সী রিয়াজ উদ্দিন ও কর্মচারী ২৭ বছর বয়সী সোহাগ হোসেন।

কৃষি খামারের কর্মচারী সোহাগ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ে কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। এ সময় ভালাইপুর মোড়ের একটি দোকান থেকে ৫০০ মিলিলিটারের একটি কোকাকোলা কিনে বাড়িতে যান তিনি। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরে ওই কোকাকোলা সবাই মিলে ভাগাভাগি করে পান করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

কৃষি খামারের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন জানান, কোকাকোলা পান করার কিছুক্ষণ পরই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে এবং তিনি দুর্বল হয়ে যান। বাকি পাঁচজনের মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তারা। প্রতিবেশীরা শুক্রবার সকালে তাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়া মা আরিজ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে অসুস্থ হয়ে ছয়জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। ওই পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তারা কোকাকোলা পান করে অসুস্থ হয়েছেন। আমরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত কি না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

তবে যে কোমল পানীয় পান করা হয়েছিল তার এখনও তিন মাস মেয়াদ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিভাগের আরো খবর