বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ১১ মার্চ, ২০২৩ ০৯:২০

ময়মনসিংহ র‌্যাব কর্মকর্তা ১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোণার কেন্দুয়া থেকে বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে ইয়াছিন মিয়া ও জামালগঞ্জ থেকে আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আমির হোসেনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জামালগঞ্জ শহরে কিবরিয়ার দোকান থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।’

নেত্রকোণার আটপাড়ায় এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার বিকেলে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

২৯ বছর বয়সী নিহত মো.কাইয়ুম ময়মনসিংহের নান্দাইল থানাধীন সুনদাইল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানাধীন নোয়াদিয়া গ্রামের ২৮ বছর বয়সী বাবুল হোসেন, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানাধীন ২৯ বছর বয়সী ইয়াছিন মিয়া ও একই জেলার জামালগঞ্জ থানাধীন ৩২ বছর বয়সী আমির হোসেন।

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাইয়ুম অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোজাঁখুজি শুরু করে।

৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নেত্রকোণার আটপাড়া থানাধীন শুনই ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামের একটি ডোবার জমিতে অজ্ঞাত মরদেহ দেখতে পায় এলাকার লোকজন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনাটি জানাজানি হলে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে শাহজাহান নামের একজন থানায় এসে নিশ্চিত হয় এটি তার ছোট ভাই কাইয়ুমের মরদেহ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।

তিনি বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে ৯ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনিসহ আরও ২/৩ জন কাইয়ুমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা অটোরিকশাটি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানাধীন ইয়াছিন মিয়ার কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

ইয়াছিন আবার এই অটোরিকশাটি পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ থানাধীন ভাটিলালপুর গ্রামের সুমন মিয়ার ছেলে ফাজিল মিয়ার কাছে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ফাজিল অটোরিকশাটি জামালগঞ্জের চাঁনপুর গ্রামের মহাজ উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেনের কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আমির হোসেন অটোরিকশাটি আবার কিবরিয়া নামের আরেকজনের কাছে ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোণার কেন্দুয়া থেকে বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে ইয়াছিন মিয়া ও জামালগঞ্জ থেকে আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আমির হোসেনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জামালগঞ্জ শহরে কিবরিয়ার দোকান থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।’

সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার বাবুল হোসেন ও ইয়াছিনের নামে থানায় অটোরিকশা চুরিসহ অন্যান্য আরও মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।’

এ বিভাগের আরো খবর