বিএনপির চেঁচামেচির মধ্যেই ফ্রিডম হাউস গণতন্ত্র চর্চা সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমনটি জানান।
ওয়াশিংটনভিত্তিক এক সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশের গণতন্ত্রের দিক থেকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা কথা বলে, সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে। তারা বলে, আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, সেটি যে অসার মিথ্যা, সেটি ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহতভাবে সুসংগত রয়েছে। এটি আরো হতো যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করত।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সব সমালোচনাকে মিথ্যা দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যে সমালোচনা করে সব মিথ্যা। দেশের গণতন্ত্র হরণ হয়নি। বিএনপি নিজেদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নেই। থাকলে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যেত।’
বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকারের রশি ধরে টান দেয়ার সময় এসেছে’ এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা তো রশি ধরে টান দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। সরকারকে রশি ধরে টান দিতে গিয়ে সেই রশি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে তাদেরই কোমরটা ভেঙে গেছে। এখন আবার টান দিতে গেলে তাদের কোমর আরো ভেঙে যাবে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ‘অন্যায় আচরণের শিকার’- এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন বিশ্বের ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তি। যা গত মঙ্গলবার মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূসের এটি বিবৃতি না, নিজের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে নিজের ব্যক্তিত্বকে হরণ করেছেন তিনি।’