বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা, আসামি অজ্ঞাত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:০৮

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত কমিশনার কে এন রায় নিয়তি শুক্রবার দুপুরে মামলার বিষয় নিশ্চিত করেন।

রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।

এতে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) আলমগীর হোসের বাদী হয়ে তুরাগ থানায় মামলাটি করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত কমিশনার কে এন রায় নিয়তি শুক্রবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কী ঘটেছিল

উত্তরায় বৃহস্পতিবার সকালে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকাবাহী একটি গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটা ওই ঘটনায় ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে জানান তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার।

তুরাগ থানার এক কর্মকর্তা জানান, উত্তরার দিয়াবাড়ীর ১৬ নম্বর সেক্টরে ব্রিজের কাছে একটি গাড়ি থেকে ট্রাংকভর্তি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা। মাইক্রোবাসটি মিরপুর ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল।

তিনি জানান, ডাচ-বাংলার টাকা মানি প্ল্যান্ট সিকিউরিটি কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচজন কর্মী নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে কালো রঙের একটি হাই-এইস মাইক্রোবাসে ৮ থেকে ১০ অস্ত্রধারী টাকা বহন করা মাইক্রোবাসটি থামিয়ে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

ডিবি জানিয়েছিল ৯ কোটি, গুনে মিলল প্রায় ৪ কোটি

বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ছিনতাই হওয়া ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ৯ কোটির বেশি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।

রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় হোটেল লা মেরিডিয়ানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেছিলেন, ‘ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে ৯ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার করেছি। বড় অংশই উদ্ধার করা হয়েছে।’

ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাংক খুলে মিলেছে প্রায় ৪ কোটি টাকা।

গত রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ থেকে সাতজনের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাংক খুলে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফুল ইসলাম।

গভীর রাতে শরীফুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন ট্রাংকের এক ট্রাংক খালি ছিল। বাকি দুই ট্রাংকে ছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় ভিকটিম কোম্পানি মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পাঁচ থেকে সাতজন উপস্থিত ছিলেন। ট্রাংকের চাবিগুলো তাদের কাছেই ছিল। তারাই ট্রাংক তিনটি আনলক করেছেন।’

ডিএমপি ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৯ কোটির বেশি টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। গোনার পর টাকা এত কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্যার একটা ধারণার ওপরে টাকার অঙ্কটা বলেছিলেন। আমরা জানতাম চারটা ট্রাংক খোয়া গেছে। যেহেতু তিন ট্রাংক পাওয়া গেছে, তাই ১১ কোটি ২৫ লাখের চার ভাগের আনুমানিক তিন ভাগ হিসাব করে বলেছিলেন।

‘আমরা যখন গাড়িসহ উদ্ধার করেছি, তখন এটা লক ছিল। ট্রাংক কেউ হাত দিয়েও দেখেনি। পরে আমরা থানায় নিয়ে এসে ভিকটিমদের সামনে ট্রাংক আনলক করি। গাড়ির পেছনে যে ট্রাংক ছিল, ওই ট্রাংকের সাইড দিয়ে বাঁকা করে হাত ঢুকিয়ে টাকা বের করে নিয়ে গেছে।’

কীভাবে বাঁকা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা ডাকাতি করেছেন, তারা বাঁকা করে টাকা নিয়ে গেছেন।’

ডিবির প্রধান ব্রিফ করার আগে ট্রাংক গাড়ি থেকে বের করে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন কি না জানতে চাইলে শরীফুল বলেন, ‘গাড়ি লক করাই ছিল। জনবহুল রোডের ওপরে গাড়িটা ছিল।

‘স্যার ওই চিন্তাও করেন নাই দেখার। স্যার মনে করছেন যে, চারটা ট্রাংকের তিনটার টাকা উদ্ধার হয়েছে।’

ডিএমপি ডিবিপ্রধানের ভাষ্য

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তো ট্রাংক খুলে টাকা গুনি নাই। অনুমান করে বলেছি, তবে টাকা কম হবে, আমরা যা বলেছিলাম তার থেকে।’

এ বিভাগের আরো খবর