ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে গিয়ে কিছু বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তরও জানতে চেয়েছেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি প্রধান অতিথি; সময়মতো আসব, কিন্তু আমার জন্য বাকিদের বসিয়ে রাখা হয়েছে কেন? সবাই এখানে ব্যস্ত মানুষ। আমি আয়োজকদের কাছে এর উত্তর চাই।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রোগ্রাম অ্যালামনাইয়ের, কিন্তু এটি আমার কাছে অ্যালামনাইয়ের পরিবেশের মতো মনে হচ্ছে না। এখানে কুশল বিনিময়, আড্ডা হবে। এই আড্ডা টিএসসিতে ভালো মানায়।
‘এটা কি কোনো অ্যালামনাইয়ের পরিবেশ? আপনারা বলেছেন, অনেক লোক আসবে, কিন্তু পেছনে তো সব চেয়ার খালি।’
অ্যালামনাইয়ের অনুষ্ঠানে সব দলের লোকজন দাওয়াত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘হলের অ্যালামনাইয়ের এই প্রোগ্রামকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
ওই সময় তিনি পুনর্মিলনীর মতো অনুষ্ঠান রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘অ্যালামনাই যদি করতে চান, তাহলে এটিকে নন-পলিটিক্যাল বানান। সব জায়গায় পলিটিকস করতে চাই না। আর সব জায়গায় রাজনীতি চলেও না।
‘কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠান হবে, এটা কাম্য নয়।’
কাদের বলেন, ‘অ্যালামনাইয়ে মন্ত্রীকে এনে প্রধান অতিথি করতে হবে, এটির সাথে আমি একমত নই। কোনো প্রধান অতিথি হবে না। মন্ত্রী প্রাক্তন আবাসিক ছাত্র হিসেবে আসবে। সবার একই স্ট্যাটাস। প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমরা আসব, আড্ডা দেব, কুশল বিনিময় করব, পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করব। এটা কোনো পলিটিকাল আসর নয়।
‘প্রথমবারের মতো এই পুনর্মিলনী হচ্ছে; ভালো। পরবর্তীকালে যেন এটিকে নন-পলিটিক্যাল অ্যালামনাই হিসেবে দেখতে পাই। ভবিষ্যতে আজকের এই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।’