সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত থাকায় কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষে ওই বছরের অক্টোবরে সাজা বেড়ে দ্বিগুণ হয় বিএনপিপ্রধানের। একই মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আরও ৭ বছরের সাজা হয় তার।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার জামিনের আবেদন বারবার নাকচ হওয়ার মধ্যে স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুক্তির আবেদন নিয়ে যান। সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশে ওই বছরের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত হয় খালেদা জিয়ার।
২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের ভেতরে নিজের মতো করে থাকতে পারবেন খালেদা জিয়া।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এরই মধ্যে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছেন বিএনপির নেতারা।
এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত আলোচনায় আসছে খালেদা জিয়ার রাজনীতি ও নির্বাচনের লড়ার প্রসঙ্গটি।
মুহসীন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়ে এসে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রাজনীতির বিষয়টা আদালতের এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছে।
‘এর অর্থ এ নয় যে, তার সাজা বাতিল হয়ে গেছে। তিনি রাজনীতি করবেন নাকি নির্বাচন করবেন, সেটা আদালতের বিষয়।’